biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ XDurbar দূর্বার 1st gif ad biggapon animation বিজ্ঞাপন এ্যানিমেশন biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ
ঢাকাMonday , 2 January 2023
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • Xrovertourism rovaar ad বিজ্ঞাপন
  • ফিরে দেখা ২০২২ঃ উলিপুরে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে স্বস্তি ছিলো না বছরজুড়ে

    Link Copied!

    কুড়িগ্রামের উলিপুর ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলা বিধৌত উপজেলা। দেশের দীর্ঘতম নদ ব্রহ্মপুত্র এ উপজেলার হাতিয়া, বুড়াবুড়ী, বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের বুকচিড়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তা নদী দলদলিয়া, থেতরাই, গুনাইগাছ ও বজরা ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ব্রক্ষ্মপুত্রে পতিত হয়েছে।

    ধরলা নদী উপজেলার বেগমগঞ্জ ও বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মপুত্রে গিয়ে মিলিত হয়েছে। উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯ টি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে এসব নদ-নদী প্রবাহিত।

    দীর্ঘকাল ধরে এসব নদনদীর সাথেই জীবন ও জীবিকা ওতোপ্রোতো ভাবেই জড়িয়ে আছে এই উপজেলার বাসিন্দাদের। সারাবছর ধরে এসব নদনদীর চর ও তীরে বিভিন্ন ধরনের কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করেন স্হানীয়রা। এছাড়া সারা বছর পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতের মাছ। যোগাযোগের জন্য অন্যতম মাধ্যমও এসব নদ-নদী। সবমিলিয়ে এ এলাকার কৃষক, জেলেসহ স্হানীয় বাসিন্দাদের জন্য আশীর্বাদ এসব নদ-নদী।

    আরও পড়ুন-    কুড়িগ্রামের তিস্তা পাড়ের মানুষের এ দুঃখের শেষ কোথায়?

    কিন্তু আশীর্বাদ হলেও নানা কারণে কখনও কখনও অভিশাপের মুখে পড়ে থাকেন এখানকার বাসিন্দারা। নদ-নদী ভাঙন, সময়-অসময়ে বন্যা স্বর্বসান্ত করেছে অনেক পরিবারকে।

    প্রতি বছরের ন্যায় ২০২২ সালেও তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা অববাহিকায় বন্যা ও ভাঙনের শিকার হয় স্হানীয় বাসিন্দারা। বছরটির এপ্রিলে হঠাৎই পানি বৃদ্ধি পায় তিস্তা নদীতে। পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের নিচু জায়গাগুলো তলিয়ে যায়। এতে ডুবে যায় চরাঞ্চলের চাষিদের উৎপাদিত ফসল। পেঁয়াজ, রসুন, কাউন আর বোরো ধান। মাত্র ১০-১৫ দিনের মধ্যেই ঘরে তোলা শুরু হতো এসব ফসল।

    উঠতি ফসল অসময়ের পানি বাড়ায় ডুবে নষ্ট হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তিস্তা পাড়ের প্রতিটি কৃষক পরিবার। কেননা এ ফসলই তাদের সারাবছর চলে।

    পানি বাড়ার সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের অর্জুন ও লালমসজিদ এলাকার প্রায় ১০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন-    উলিপুরে খরগোশের পাপোশ তৈরি করে তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবিকা   

    এছাড়াও এপ্রিলের আগে ফেব্রুয়ারী ও মার্চ এই দুই মাসের ব্যবধানে আরো অর্ধশতাধিক পরিবারের বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে যায়। নদী ভাঙনের শিকার হন অর্জুন ও লাল মসজিদ গ্রামের দেলদার আলী, কছিমুদ্দিন, রবিউল ইসলামসহ বেশকয়েকজন।

    জুন মাসে টানা বৃষ্টি, উজানের পানি আর নদীর প্রবল স্রোতে ভাঙন শুরু হয় ব্রহ্মপুত্র নদে। জুন মাসের ১০ দিনে উপজেলার সাহেবের আলগা এবং হাতিয়া ইউনিয়ন পরে ভাঙনের কবলে। ভেসে যায় সাহেবের আলগা ইউনিয়নের হকের চরে অবস্থিত আনন্তবাজারে ১৭টি দোকান, বিলীন হয় ৩৪টি বাসাবাড়ি।
    জুলাই মাসে হকের চরটি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের হুমকিতে পড়ে। সেসময় ৪ দিনে ১০টি বসতভিটা ও আবাদি জমি নদীর উদরে চলে যায়। এমনকি ঈদের সময়ও ভাঙনের শিকার হন সেখানকার বাসিন্দারা। ছিলো না ঈদের আমেজও।

    ভাঙের শিকারদের একজন নুর মোহাম্মদ (৫৫)। ঈদের আগের দিন বিকালে তার বসতভিটা নদীর উদরে চলে যায়। এক বিঘা আবাদি জমি ও একটি বাঁশের ঝাড় ছিল, সেগুলোও ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। একই সময়ে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট ও কড্ডার মোড় এলাকায় তীব্র ভাঙনে বাস্তুভিটা হারান সহস্রাধিক পরিবার। ভাঙনের শিকার হন মজিবর, সেকেন্দার, সোহাগসহ সহস্রাধিক পরিবার। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড পুরোটাই এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেশিরভাগ বিলীন হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন-    তিস্তার ভাঙন রোধের দাবিতে মানববন্ধন

    আগষ্ট, সেপ্টেম্বর প্রচন্ড ভাঙনের মুখে পড়ে আলোচনায় উঠে আসে তিস্তা অববাহিকার বজরা ইউনিয়ন। বজরা ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন ও শতশত পরিবার নিঃস্ব পড়ে। এই ইউনিয়নে ৪ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করে। এক সপ্তাহে ঘরবাড়ি হারায় ৪ শতাধিক পরিবার। বিলীন হয়ে যায় পুরো একটি গ্রাম। বিলীন হয়ে যাওয়া সাতালস্কর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন আবুল হোসেন, গোলাম হোসেন, আজিত, ওসমান গনি, মফিজল, নুরনবী, নজরুল, এরশাদ। ভাঙনে এখন নিঃস্ব তারা।

    নদী ভাঙনের শিকার হন পশ্চিম বজরার রুস্তম আলী, আতাউর রহমান, মাইদুল ইসলাম, মমিনুল ইসলাম, সাইফুল আজগার মোস্তফা ফজিয়াল শাহিবুলসহ চারশতাধিক পরিবার। ৪ সেপ্টেম্বর ভাঙন কবলিত এলাকাবাসীর আয়োজনে অব্যাহত ভাঙন ঠেকাতে, নদী শাসন ও টি-বাঁধ নির্মাণে সরকারের দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে নারী-পুরুষ-শিশু, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

    সেসময় ভাঙনকবলিত জায়গা পরিদর্শন করে পাউবোর মহাপরিচালক বজলুর রশিদ জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিচ্ছে। পাউবোর জরুরি তহবিল থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভাঙনরোধে একটি নতুন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তিস্তায় আর ভাঙন থাকবে না।

    আরও পড়ুন-    শিগগিরই তিস্তা চুক্তির আশাবাদ শেখ হাসিনার

    অক্টোবর, নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরেও বন্ধ হয়নি ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী মোল্লারহাট সংলগ্ন রসুলপুর ও ভূগোলের কুটি গ্রামে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভাঙনের ভয়াবহ দৃশ্য দেখা গেছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ব্রহ্মপুত্রের ভয়াবহ ভাঙনের তান্ডবে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসতভিটা, গাছপালা, আবাদি জমি, কবরস্থান গিলে ফেলেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। আরো অনেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন তাদের বাড়ি-ঘর। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের মুখে পড়েছে নদের অববাহিকার শত শত পরিবার। গত এক মাসে জেলার উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের জাহাজের আলগা, কাজিয়ার চর,বাগুয়ার চর ও চর গেন্দার আলগা গ্রামের প্রায় ৬৫-৭০টি বাড়ি ও শত শত বিঘা আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এখনো চর গেন্দার আলগা গ্রামে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন অব্যাহত আছে।

    ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো দিশেহারা। স্বর্বসান্ত হয়ে অনেকের মাথাগোঁজার ঠাঁই হয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। অনেকে আছেন আত্মীয় স্বজনদের জমিতে বসতি স্থাপন করে। আবাদি জমি হারিয়ে এখন তারা রয়েছেন জীবনযুদ্ধে। সেখানকার বাসিন্দাদের সন্তানদের পড়ালেখায়ও যেন নেই নিশ্চয়তা। জীবন ও জীবিকার সাথে জড়িয়ে থাকা তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র অভিশাপ না হয়ে আশীর্বাদই থাকুক এ এলাকার মানুষদের। নদ-নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ও স্হায়ী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি দীর্ঘদিনের। নদ-নদী শাসনে কাজ হয় তবু যেন তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বাসিন্দাদের দুঃখের শেষ হয় না!

    শীর্ষসংবাদ/নয়ন

    biggapon বিজ্ঞাপন

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০
    biggapon ad advertis বিজ্ঞাপন এ্যাড অ্যাডভার্টাইজ  
  • আমাদেরকে ফলো করুন…