দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেড় শ’ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যেসব আসনে ইভিএমে ভোট হবে, সেখানে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানো হবে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অনূর্ধ্ব ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সব দলের মতামত আমলে নিয়েই নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুনির্দিষ্টভাবে কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১৫০টি এবং সর্বনিম্ন একটি আসনেও ইভিএম ব্যবহার হতে পারে।
বর্তমানে ইসির ইভিএম ব্যবহারের সক্ষমতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সক্ষমতা রয়েছে। যদি ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে হয় তাহলে নতুন করে মেশিন কেনার প্রয়োজন হতে পারে।
ইভিএম ব্যবহারে অনেক রাজনৈতিক দলই সংলাপসহ বিভিন্ন সময় বিরূপ মন্তব্য করেছে, সেসব উপেক্ষা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি এমন প্রশ্নের জবাবে কুমার দেবনাথ বলেন, এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত। সবকিছু বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইসির সংলাপে ২২টি দল ইভিএম নিয়ে মতামত তুলে ধরে। এর মধ্যে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ১৪টি দল এ যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে সংশয়-সন্দেহ প্রকাশ করে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দল সরাসরি ইভিএমের বিরোধিতা করে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগসহ চারটি দল ইভিএমে ভোট গ্রহণের বিষয়ে মত দেয়। আর কয়েকটি দল শর্তসাপেক্ষে ইভিএমের পক্ষে মতামত দেয়। তবে বিএনপিসহ ৯টি দল ইসির সংলাপ বর্জন করে। তারাও ইভিএমের বিপক্ষে। তারা কোনোমতেই এটির মাধ্যমে ভোট চান না।