কুড়িগ্রামের উলিপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে কলেজ শিক্ষার্থীর বাড়িতে দুই দিন থেকে নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসার ছাত্রী অনশন করছেন। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার তবকপুর রেলগেট মিয়াপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই ওই কলেজ শিক্ষার্থী গাঁঢাকা দিয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে আতিকুর রহমান আতিক (১৮) এর সাথে পাশ্ববর্তী চিলমারী উপজেলার বালাবাড়ি জুম্মাপাড়া এলাকার বকুল মিয়ার মেয়ে বিন্নি আক্তার রিপার (১৯) প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়। এই দাবী নিয়ে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে ওই মেয়ে আতিকের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে অবস্থান করছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দলে দলে মানুষজন ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।
আরও পড়ুন- মদন পৌর সভায় সৌর সড়ক বাতির উদ্বোধন
সরেজমিন মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলে গেলে অনশনরত ওই শিক্ষার্থী বলেন, মাদ্রাসায় পড়াকালীন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আব্দুর রশিদের ছেলে রাকিব হাসান (২২) এর সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক হয়। ১১ মাস পূর্বে তারা এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তিনি তার পিতার বাড়িতেই অবস্থান করছেন। হঠাৎ করেই ৬ মাস থেকে স্বামী আতিক তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাই তিনি বাধ্য হয়ে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে শ্বশুর বাড়িতে এসে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে অনশন করছেন। তবে তাকে দেখার পর থেকেই স্বামী আতিক গাঢাকা দেন। তিনি বলেন, স্বামী আতিক যদি আমাদের বিয়ের
সম্পর্ক অস্বীকার করে তবেই আমি বাড়ি চলে যাব। তার সাথে দেখা না করা পর্যন্ত আমি এখানেই থাকব। আমি তাকে রাকিব হাসান নামেই চিনি অথচ এখানে এসে জানতে পারি তার নাম আতিকুর রহমান আতিক।
ছেলের ভাই রাশেদ মিয়া জানান, আমার ভাই ২০২১ সালে এসএসসি পাশ করেছে। বর্তমানে সে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ওই মেয়ের সাথে আমার ভাইয়ের মাত্র কয়েক দিনের সম্পর্ক ছিল। প্রথমবার দেখা করতে গিয়েই মেয়ের স্বজনেরা আমার ভাইকে আটকিয়ে আমাদের কাছে ৩০ হাজার টাকা মিমাংসার কথা বলে আদায় করেন। এরপর হঠাৎ করে গতকাল (১৯ ডিসেম্বর) থেকে ওই মেয়ে নিজেকে আতিকের স্ত্রী দাবী করে আমাদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এফিডেভিটে আমার ভাইয়ের বয়স ২২ বছর ও নাম রাকিব হাসান উল্লেখ করা হয়েছে, যা মিথ্যা। মেয়ের পরিবারের সাথে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছি তারা যদি উপর্যুক্ত প্রমান দেখাতে পারেন তখন আমরা ওই মেয়েকে মেনে নিব। আমার ভাই বর্তমানে বাহিরে অবস্থান করছেন।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।