আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জঙ্গিগোষ্ঠীকে উস্কানি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছেন তা দেখে দেশের বিবেকবান মানুষ লজ্জা পেয়েছে। বিএনপি মহাসচিবের দেওয়া ‘ভারত ও পশ্চিমা বিশ্বকে দেখাতে সরকার দেশে জঙ্গি নাটক করছে’ এ বক্তব্য দেশবাসীর সঙ্গে বিএনপির চরম উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়।”
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিবৃতিতে জঙ্গিবাদ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাস্যকর ও নির্লজ্জ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন ও শান্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সে সময়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জঙ্গিগোষ্ঠীকে উস্কানি দিচ্ছে বিএনপি। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে সেই উস্কানিরই প্রতিফলন ঘটেছে।’
আরও পড়ুন- `আওয়ামী লীগ যে ভাষায় কথা বলে বিএনপি সে ধারায় রাজনীতি করে না`
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারক ও বাহক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক আদর্শের ভিত্তিতে স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছে এবং উদার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল। স্বাধীনতাবিরোধী এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দ্বারা আওয়ামী লীগ বার বার আক্রান্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী এই উগ্র-সাম্প্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় নিহত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে উগ্র-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও জঙ্গিবাদের বীষবৃক্ষ রোপণ করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে জিয়াউর রহমান। বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় এদেশে উগ্র-সাম্প্রদায়িক রাজনীতির যাত্রা শুরু হয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান, দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় গ্রেনেড হামলা। গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি মুফতি হান্নানসহ একাধিক জঙ্গি নেতার আদালতে দেওয়া জবানবন্দি এবং সাক্ষ্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়, তারেক রহমানই ছিল এই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড। এ ঘটনায় নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২২ নেতা-কর্মী নিহত হন। বিএনপি, জামাত, বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র, দেশি-বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর সম্মিলিত ষড়ন্ত্রেই এই হামলা পরিচালিত হয়।’