দেশের ১৮টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই সেসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাতে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মোঃ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন- রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- অন্ধ্র উপকূলীয় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূলীয় ও তৎসংলগ্ন এলাকয় অবসস্থান করছে।
আরও পড়ুন- সতর্ক সংকেত উঠে বৃষ্টি বাড়ার আভাস
মৌসুমী বায়ুর অক্ষ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরণের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও আগামী দু’দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে দিনাজপুরে, ৪৩ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সন্দ্বীপে, ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।