প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ বিএনপিকে সবক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা কোন মুখ নিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইতে যাবে। আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো, পেট্রলবোমা মারা, নাশকতা করে মানুষ খুন করেছে। এখন মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবে কোন মুখ নিয়ে। পারছে না বলেই বিদেশিদের পিছে পিছে ঘুরছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া যেকোনো রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আমরা কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। তবে চাইবো- সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
তিনি বলেন, দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অনেক হুমকি দিচ্ছে। এটাই তো তাদের কাজ। যত উন্নয়নই হোক, বিরোধিতা করাটাই তাদের কাজ। তবুও তারা যদি শক্তিশালী হতো, তাহলে অনেক কিছুই হতে পারতো।
আরও পড়ুন- মালয়েশিয়াকে গুঁড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের একজন কাউন্সিলরও যদি আমাকে না চায়, তাহলে আমি থাকবো না। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। আমি অবশ্যই চাই আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্ব আসুক। নেতৃত্ব কাউন্সিলররা ঠিক করেন। কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্তটাই চূড়ান্ত।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এই সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় পরিণত হয়েছি। এখন বিদায় নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত।
র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে করা আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, র্যাবকে আমেরিকা যেমন ট্রেনিং দিয়েছে, তারা তো তেমনই কাজ করছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস না থাকায় আমেরিকা নাখোশ কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য দেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।