পটুয়াখালীর গলাচিপায় রোববার মধ্যরাত থেকে টানা বর্ষনে মাঠ ঘাট প্লাবিত, রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। অতি প্রয়োজনে কেউ কেউ ঘর থেকে বের হলেও তার সংখ্যা ছিল অতি নগন্য। রাস্তায় যাত্রীবাহী গাড়িও ছিলোনা চোখে পড়ার মতো। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে খেটে খাওয়া মানুষের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে একই পরিস্থিতি সর্বত্র। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিন্মচাপের প্রভাবে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে। নদ-নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক জোয়ারের এর চেয়ে ৩/৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এরফলে ভাঁঙ্গা বেরীবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে চরকারফারমা, চরকাজল, চরবিশ্বাস, নলুয়াবাগী, গোলখালী, ডাকুয়া, কলাগাছিয়া, আমখোলা ও পৌরসভাসহ অন্তত ৮টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও পুকুর, মাছের ঘের ও ফসলের ক্ষেত ডুবে একাকার হয়েছে। আজ সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৭৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ১৫ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা অব্যাহত
এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় অধিকাংশ ট্রলার ও নৌকা ইতিমধ্যে নিরাপদে ঘাটে ফিরেছে। ট্রলার ও মাছধরার নৌকা সমূহকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকার জন্য মাইকিং করেছে কোষ্টগার্ড।
আবহাওয়া অফিষ সূত্র জানায়, উপকূলীয় এলাকায় দিয়ে ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই দেশের সকল সমুদ্র বন্দরে (০৩) নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রয়েছে। দেশের উপকূলীয় ১৫ জেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০১-০২ এর অধিক জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আরও দুই- তিন দিন এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।