সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঘুম সবারই দরকার আর এটা আমরা সবাই জানি বটে, কিন্তু ভালো ঘুম সবার কপালে জোটে না। কারণ যাই হোক, দেখা যায় রাতের পর রাত দু-চোখের পাতা এক করতে পারেন না অনেকেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গের হুগলীর শ্রীরামপুরের তরুণী ত্রিপর্ণা ঘুমিয়েই জিতেছেন ৬ লাখ টাকা পুরস্কার।
সম্প্রতি একটা ঘুমানোর প্রতিযোগিতার আয়োজন করে একটা ম্যাট্রেস কোম্পানি। সেই প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছিলেন ত্রিপর্ণা। এক টানা ১০০ দিন ৯ ঘণ্টা করে ঘুমিয়ে ‘সেরা ঘুমকাতুরে’র পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই তরুণী।
জানা গেছে, ত্রিপর্ণা একটি বহুজাতিক কম্পানিতে কাজ করেন। ঘুমাতে প্রচন্ড ভালবাসেন তিনি। ছোটবেলায় ঘুমের জন্য প্রচুর বকাও খেয়েছেন। এমনকি চাকরির ইন্টারভিউতে গিয়েও ঘুমিয়েছেন ত্রিপর্ণা।
সম্প্রতি ভারতে একটি ম্যাট্রেস কম্পানি ঘুমানোর প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। কে কতক্ষণ একনাগারে ঘুমাতে পারে সেটাই ছিল প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ত্রিপর্ণা। এক টানা ১০০ দিন নয় ঘণ্টা করে ঘুমিয়ে ‘সেরা ঘুমকাতুরে’র পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি।
ত্রিপর্ণা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই ঘুম খুব পছন্দের তার। এখন একটি বহুজাতিক কম্পানির কর্মী তিনি। কম্পানির মূল অফিস যুক্তরাষ্ট্রে। তাই শ্রীরামপুরের বাড়ি থেকে কাজ করতে হলে তাকে রাত জাগতে হয়। ঘুমাতে হয় দিনের বেলা।
শৈশব থেকেই ঘুম নিয়ে অনেক ঘটনা রয়েছে বলে জানান তিনি। কখনও বোর্ড পরীক্ষা দিতে যেয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। কখনও আবার ইন্টারভিউ দিতে যেয়ে সেখানে ঘুমিয়েছেন। আসলে ঘুম পেলেই ঘুমিয়ে যান তিনি। তাই এমন প্রতিযোগিতা তার কাছে একটি বড় সুযোগ বলে জানান তিনি।
ত্রিপর্ণা ঘুমের এই প্রতিযোগিতার কথা জানতে পেরেছিলেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে। সারা দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ প্রতিযোগী এখানে অংশ নিয়েছিলেন। তবে সবাইকে পেছনে ফেলে তিনিই ‘সেরা ঘুমকাতুরে’ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
প্রতিযোগীতার আয়োজক সংস্থা জানিয়েছে, ১০০ দিনের চ্যালেঞ্জে প্রত্যেক প্রতিযোগীকে দিনে নয় ঘণ্টা করে গভীরে ভাবে ঘুমাতে বলা হয়েছিল। প্রত্যেক প্রতিযোগীকে ঘুমের ওপর স্কোর দেয়া হয়। সবচেয়ে বেশি স্কোর করেছেন ত্রিপর্ণা। তার ঘুমের স্কোর ছিল ১০০ এর মধ্যে ৯৫। প্রতিযোগীতার ফাইনালের সময় ঘুম পর্যবেক্ষণ করতে ত্রিপর্ণার বাড়িতে সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল হাজির হয়। অনেক দিক থেকে বিচার করে তারা প্রথম স্থান অধিকারীকে নির্বাচন করেন।
সূত্র : আনন্দবাজার।