গাজায় ইসরাইলের বোমা হামলায় তিন ইসরাইলি বন্দী নিহত হয়েছে। তারা তিনজনই একই পরিবারের সদস্য। সবচেয়ে ছোট বন্দীর নাম কাফির বিবাস। বয়স ১০ এর মতো হবে। এছাড়া তার চার বছর বয়সী ভাই এবং তাদের মাও নিহত হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এক টেলিগ্রাম পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা হামাসের এই বিবৃতি নিরীক্ষণ করছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে কঠোর পরিশ্রম করছে হামাস। বুধবার (২৯ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য গাজি হামাদ।
আরও পড়ুন— দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদনের সময় বাড়াল ইসি
তিনি বলেন, হামাস মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতা ও যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা যাচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি সহজ নয়। সময়ও খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তবুও আমরা আশা ছাড়ছি না।
গাজি হামাদ বলেন, আমরা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আরো বন্দীদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু সেটা কোন প্রক্রিয়ায় হতে পারে, সে জন্য আমরা কাতার ও মিসরের সাথে আলোচনা করছি। আমি আশা করি, এটি আজ বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। আমরা বিরতির মেয়াদ আরো বাড়াতে পারব।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর এই সদস্য বলেন, বেসামরিক ও সামরিক উভয় শ্রেণিকেই মুক্তি দেয়ার বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে। আমরা একটি সন্তোষজনক সমঝোতায় উপনীত হতে পারব বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন— রায়পুরে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মোটরসাইকেল চুরি
গাজী হামাদ বলেন, আমরা এখন যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রতি মনোযোগ দিচ্ছি। আমরা এমন একটি সমঝোতায় পৌঁছাবার চেষ্টা করছি, যেন গাজার সকল বন্দীরা মুক্তি পেয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই যে ইসরাইলি কারাগারে বন্দী থাকা সকল ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করে দেয়া হোক। একইসাথে এই নিশ্চয়তাও দিতে হবে যে তাদেরকে আর গ্রেফতার করা হবে না।
সূত্রঃ আলজাজিরা