বর্তমান সময়ে স্ট্রোক কেবল বয়স্কদের সমস্যা নয়, কম বয়সীরাও এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্ট্রোকের কারণে অল্প বয়সেই কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন অনেকে। স্ট্রোকের কারণে মূলত বাহু ও পায়ের দুর্বলতা, মুখ ঝুলে যাওয়া ও কথা বলায় অসুবিধা হয়। স্ট্রোক–পরবর্তী সমস্যাগুলো দূর করে শরীরের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা।
একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হবে টানা দুই থেকে ছয় মাস। মনে রাখতে হবে, স্ট্রোকের পর যত দ্রুত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শুরু করা যাবে, রোগীর কর্মক্ষমতা ফিরে আসার সম্ভাবনা তত বেশি থাকে।
স্ট্রোকের প্রাথমিক অবস্থায় ফিজিওথেরাপি
১. শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা; ২. সঠিক পজিশনিং; ৩. মাংসপেশির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা।
স্ট্রোকের দুই-তিন সপ্তাহ পর ফিজিওথেরাপি
উদ্দেশ্য—মাংসপেশির স্বাভাবিক টান ফিরিয়ে আনা; শরীরের স্বাভাবিক অ্যালাইনমেন্ট ফিরিয়ে আনা; শরীরের বিভিন্ন হাড়ের জোড়ায় বা জয়েন্টের স্বাভাবিক নাড়ানোর ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা; ভারসাম্য ও কো-অর্ডিনেশন উন্নত করা এবং স্বাভাবিক হাঁটার ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা; রোগীর কর্মদক্ষতা বাড়ানো; রোগীর মানসিক অবস্থা উন্নত করা ও রোগীকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে যেতে সাহায্য করা।
স্ট্রোক প্রতিরোধই শ্রেয়
- স্ট্রোক প্রতিরোধে সঠিক জীবনযাপনের প্রতি গভীর মনোযোগ দিতে হবে। এ রোগের জন্য দায়ী ভুল খাদ্যাভ্যাস, শারীরচর্চার অভাব ও অস্বাস্থ্যকর কিছু বদভ্যাস।
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
- ধূমপান বা অ্যালকোহল ছাড়তে হবে।
এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা