‘বিএনপি নেতারা পাহাড়ের গুহায় বসে কথা বলছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতারা পালিয়েছেন, তাদের দেখা যায় না। বিএনপির ১ কোটি নেতাকর্মীরা কোথায় গেল? তাদের ৮ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা মিথ্যা। এসব মিথ্যা কথা বলে বিদেশিদের কাছে নালিশ দিচ্ছে।’
রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না, সংলাপের পাঠ শেষ। যাদের নির্দেশে ২৮ অক্টোবর সন্ত্রাস হয়েছে, তাদের বিচার হতেই হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জনগণের জানমালের রক্ষায় নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে। যত স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া দরকার, সেটা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন— শর্তহীন সংলাপে আওয়ামী লীগ রাজি হতে পারেঃ ওবায়দুল কাদের
চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশকে খারাপ পরিবেশ থেকে রক্ষার জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) নামানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি পুলিশ, সাংবাদিক, ও বিচারপতির বাসায় হামলা করছে। পুলিশ হত্যার পাশাপাশি বাসেও আগুন দিয়েছে। মির্জা ফখরুলসহ কেউ কি এর দায় এড়াতে পারবে? তাদের নির্দেশেই এই সন্ত্রাস হয়েছে। কানাডার আদালত সঠিকই বলেছে, তারা সন্ত্রাসী সংগঠন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বাইরে থাকুক। দু-একজন কথা বলার লোক থাকা দরকার। তাদের আসল নেতা তারেক রহমান তো আছেই। সে স্কাইপিতে বিদেশ থেকে নির্দেশ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন— মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকবেন শেখ হাসিনাঃ কাদের
বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ হয় না। বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে তারা আগুন-সন্ত্রাসের দল। এখন তারা যা করছে, এরপর আর সংলাপের পরিবেশ নেই। একসময় বলেছিলাম শর্ত তুলে নিলে সংলাপ হতে পারে, সেই সময় শেষ।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।