আগামীকাল রবিবার (২৯ অক্টোবর) জেলা উপজেলা সারাদেশে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ করবে বলে ঘোষণা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘হরতাল কেউ মানবে না। ভোতা হয়ে গেছে। এই অস্ত্র ভোতা হয়ে গেছে। অস্ত্রে কাজ হবে না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। শান্তি চাই। নির্বাচনের আগে শান্তি চাই; পরেও শান্তি চাই।’
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘খেলা হবে? খেলা হবে? প্রস্তুত? বিএনপি কোথায়? কোথায় গেছে? তাদের মহাযাত্রা এখন মরণযাত্রা, মহাপতনযাত্রা। একজন সজ্জন মানুষ প্রধান বিচারপতির বাড়িতে কারা হামলা চালিয়েছে? পুলিশের গায়ে যারা হাত তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন— এক ঘণ্টায় ঢাকায় ৩ বাসে আগুন
তিনি বলেন, ‘আজকের অস্ত্রবাজি, আগুন সন্ত্রাস, বাংলার মাটিতে অবশ্যই এর বিচার হবে। এইসব অপরাধের পর এদের বিচারে কোনো ছাড় নেই। আমি ঘোষণা দিচ্ছি, এদের এই নৈরাজ্যের হরতাল কেউ মানবে না। আগামীকাল সারা বাংলাদেশে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামনে সন্ত্রাসীদের সাথে খেলার মতো খেলতে হবে। এদেরকে শিক্ষা দিয়ে দিতে হবে। এই অপরাধীদের স্বভাব আজকে আত্মার মতো পরিষ্কার। এদেরকে আর ক্ষমা করা যায় না।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অলিগলি দিয়ে পালাইলেন। পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছেন। কাল থেকে কাউকে আর পাবেন না। দুর্বলের সাথে কেউ থাকে না।’
নিজ দলের নেতাকর্মীদের ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মাঠে থাকব। শেখ হাসিনার কর্মীরা মাঠে ছিল, আছে, থাকবে। সতর্ক পাহারায় থাকবেন। যেখানেই থাকবেন সতর্ক থাকবেন।’
আরও পড়ুন— রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিলো বিএনপি
এর আগে রবিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা করেন।
পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ হরতালের তথ্য নিশ্চিত করেন দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নয়াপল্টন এবং আশপাশের অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে আহত ৪১ জন পুলিশ সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোিসেন এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।