ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ নামের সামরিক অভিযান শুরু করেছে হামাস। এরই মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটি গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫ হাজারেরও বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে। বড় ধরনের এই হামলার পর যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী।
আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে পাল্টা অভিযানের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন ইসরায়েল। সশস্ত্র বাহিনী বলছে, হামাসকে এ ঘটনার দায় এবং পরিণতি বহন করতে হবে।
আরও পড়ুন— ভবিষ্যত এভিয়েশন হাব হবে বাংলাদেশঃ প্রধানমন্ত্রী
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, শুধু রকেট হামলাই নয়, হামাসের যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশও করেছে। হামলায় এক ইসরায়েলি নারীও নিহত হয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের কয়েক ডজন বন্দুকধারী গাজা উপত্যকা থেকে দক্ষিণ ইস্রায়েলে অনুপ্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দায়েফ বলেছেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। আমরা ফিলিস্তিনিদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এরই মধ্যে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫ হাজার রকেট হামলা চালিয়েছি।’
বড় ধরনের এই রকেট হামলাকে ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ হিসেবে ঘোষণা করে আল-ক্বাসাম ব্রিগেডপ্রধান বলেন, ‘আমরাই আগে হামলা চালিয়েছি।’
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামাসের অব্যাহত হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা দিয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন আয়রন সোর্ডস’ শুরু করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ‘বেশ কিছু সন্ত্রাসী’ অনুপ্রবেশ করেছে।