গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ১ হাজার ৭৯৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৯৮১ জন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তাতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন ঢাকায় এবং চারজন সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) রয়েছেন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৯৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৬৩১ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৩৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন- কেবিনে নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১ হাজার ৭৯৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৫৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ২০৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ২ হাজার ৫৬ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। তার মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৭৫৪ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে ১ হাজার ৩০২ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৯৮১ জন। এর মধ্যে ঢাকাতে ৮২ হাজার ৪৭১ জন ও সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) এক লাখ ১৮ হাজার ৫১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৭৮ হাজার ৫৫৭ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ১ লাখ ১১ হাজার ৯২৩ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফিঃ আইনমন্ত্রী
বর্তমানে সারা দেশে মোট ৯ হাজার ৫২৬ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকায় ৩ হাজার ২৮৩ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ছয় হাজার ২৪৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯৫ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার পাঁচ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয় ২৮১ জনের।