হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের দুর্গানগর গ্রামের হতদরিদ্র ও প্রতিবন্ধী জামাল মিয়া ভূমিহীন তালিকায় পাওয়া বন্দোবস্তের ভূমি ৫ বছরের দখল বুঝে পাচ্ছেন না। ভূমি অফিসে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কর্মকর্তারা তার জমি উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন তথা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ধর্মঘরের দত্তপাড়া মৌজায় ৫ শতাংশ জমি প্রতিবন্ধী জামাল মিয়াকে বন্দোবস্ত করে দেয়া হয়। কিন্তু আজ পর্যন্তও সে ওই জমির দখল বুঝে পায়নি। একাধিকবার ভূমি অফিস ঘুরেও সে ওই জমি উদ্ধারে প্রশাসনের কোন সহযোগিতা পাচ্ছে না। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল তাকে ওই জমিতে ভিড়তে দেয় না। তার প্রতিবন্ধিত্ব ও দুর্বলতার সুযোগে ওই মহলটি তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানিরও চেষ্টা করছে।
প্রতিবন্ধী জামাল মিয়ার ৩ সন্তান ও অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে চলছে টানাপোড়েনে সংসার। তার রোজি রোজগারের সক্ষমতা না থাকায় ইদানীং মানুষের কাছে হাত পেতে সংসার চালাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুরে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
আরও জানা যায় এক যুগ আগে একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে আগুনে পা পুড়ে যায়। তারপর এক পা কেটে ফেলতে হয়। বর্তমানে স্ট্রেচারে ভর করে হাটে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘সরকার যেহেতু বন্দোবস্তের মাধ্যমে ৫ শতক জায়গা দিয়েছে তাই অনতিবিলম্বে এটি উদ্ধার ও হস্তান্তর না করলে উপজেলা প্রশাসনের দুর্বলতা প্রমাণ হয়। আগামী আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে প্রতিবন্ধীর পক্ষে বক্তব্য পেশ করব।’
সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন জানান, এসিল্যান্ড মহোদয় এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এটা সার্ভেয়ারের কাজ।
এ বিষয়ে জানতে মাধবপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত বিন কুতুবকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।