গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ডাকুনী গ্রামে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রাতের আধারে প্রতিবন্ধীকে বেঁধে মারপিট করে আলমারী ভেঙ্গে জমির দলিল, টাকা এবং স্বর্ণালংকার নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী সাহিদ মন্ডল ও শামীম মন্ডল গং’দের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলা বরিশাল ইউপি’র ডাকুনী গ্রামের বিদেশ ফেরত লিটন মন্ডলের (৫২) সাথে ভাগিশরীক মৃত আঃ হামিদ মন্ডলের ছেলে ধনাঢ্য প্রভাবশালী সাহিদ মন্ডল, শামীম মন্ডল ও সোফেল মন্ডল গং’দের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় লিটন মন্ডল অসুস্থ হয়ে ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এসময় লিটনের বাড়ীতে শুধুমাত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক জোবায়েদ জীম তামবী (২৫) ছিল।
আরও পড়ুন- নাঈম-মিরাজে টাইগারদের উড়ন্ত সূচনা
এ সুযোগে গত ৩০ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রভাবশালী সাহিদ মন্ডল ও সোফেল মন্ডল গং’রাসহ আরো ৭/৮ জনের একটি একদল অতর্কিত জোরপূর্বক লিটন মন্ডলের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। লিটনের বাড়ীতে থাকা শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক জোবায়েদ জীম তামবীকে মারপিট করে মুখে কাপড় গুঁজে ঘরের আসবাবপত্র তছনছসহ স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে জমির দলিল, নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ছাড়াও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ওই সময় প্রতিবন্ধী মুখের গুঁজে দেয়া কাপড় কৌশলে খুলে আত্মচিৎকার দিলে প্রতিবেশী লোকজন আসার আগেই সাহিদ মন্ডল গং’রাসহ সংঘবদ্ধদল ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়ে।
এ ব্যাপারে শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক জোবায়েদ জীম তামবীর বড় বোন শারমিন আক্তার বাদী হয়ে সাহিদ মন্ডল গং’দের বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট পলাশবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ দেয়ার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভুক্তভোগী ওই অসহায় পরিবারটি তাদের জমির দলিল, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফেরত পাওয়াসহ জড়িত দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলকশাস্তির দাবীতে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপরদিকে; অভিযুক্ত সাহিদ মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন বলে জানান।
থানা অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’