আসন্ন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসবে ধীরে ধীরে। একটা সময় আসবে বিএনপিও ভোটে আসবে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য নতুন নতুন পথ খুঁজছি আমরা। কেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়াও সমালোচনা এড়াতে কেন্দ্রে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে। সেই লক্ষ্যে আমাদের কমিশনের সব কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে।’
রবিবার (২০ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানিয়েছেন কমিশন সচিব (ইসি) রাশেদা সুলতানা। এ বছরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে ভোট করার কথা রয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের আসলে একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করে দিয়েছি। অনেক কাজ এগিয়ে গেছে ও চলছে। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরির। ভোট গ্রহণের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে অক্টোবরে। এবার অন্তত ১৩ লাখ লোক দরকার হবে। শুরুতে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে। তাদের নির্দেশিকা তৈরির তোড়জোড় চলছে। আগামীকাল কমিশন সভায় উঠবে।’
আরও পড়ুন- ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৩, হাসপাতালে ১৯৮৩
তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ শুরুর আগে প্রশিক্ষকদের ট্রেনিং করা লাগবে। এজন্য ভোটকেন্দ্রের তালিকা করার খসড়া এসে গেছে। এখন ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বিষয়ে তোড়জাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোকবল প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।’
এ নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব বিবেচনায় নীতিমালা মেনে কাজ করতে হবে। আগের মতো সবাইকে পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করতে হবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপরে তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার জানান, কমিশন সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হলে বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে আমরা নিয়োগ দেবো না। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে আসতে হবে। নীতিমালা মেনে তাদের কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে রাতে ভোট হয়েছে, এই সমালোচনা এড়াতে এবার ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বড় দুর্যোগ না হলে সময়মত ভোট হবে। আর তাতে বিএনপি অংশ নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।’