গৃহকর্তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সুদুর লালমনিরহাট সদর হতে পালিয়ে কুড়িগ্রামের উলিপুরে এসে আত্মরক্ষা করেছে এক শিশু গৃহপরিচারিকা। পিতৃহীন ওই শিশুটিকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে বাসার কাজে নিয়েছিলেন লালমনিহাট সদর থানায় কর্মরত এ এস আই কাকলী। শিশু শেলির বাড়ি উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই মন্ডলপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার ওই গ্রামের রায়হান কবিরের স্ত্রী কাকলী আক্তার লালমনিরহাট সদর থানায় এ এস আই হিসেবে কর্মরত। সেখানে তার বাসার গৃহপরিচারিকার প্রয়োজন হলে চোখ পড়ে এতিম শিশু শেলির (১২) দিকে। শেলির সার্বিক দায় দায়িত্ব নিয়ে কয়েক বছর আগে তার বাসায় নিয়ে যান। শিশুটি প্রায় সময় নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে কয়েক বার পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
অন্যান্য দিনের মতো গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) শেলির উপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এ এস আই কাকলী। নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে সুযোগ বুঝে থানা পুলিশ কোয়ার্টার থেকে পালিয়ে যায় শিশু শেলি। সেখান থেকে তার বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই মন্ডলপাড়া গ্রামে আসে সে।
আরও পড়ুন- রামগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় শতাধিক
নির্যাতনের বিবরণ শুনে ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের পাশবিক চিহ্ন দেখে তার মা স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের কাছে বিচার দাবী করেন।
কিন্তু কাকলীর পরিবার স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিশু শেলি হারিয়েছে মর্মে গত বুধবার (৯ আগস্ট) কর্মস্থল লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই এ এস আই। যার নং ৪৪৩ তারিখ ০৯/০৮/২০২৩।
বর্তমানে ওই শিশু চেয়ারম্যান এর জিম্মায় থাকলেও নিরপত্তা ও ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশংকা করছেন তার মা শিউলী বেগম সহ স্থানীয় সচেতন মহল।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি কিছুই না। একটি মহল স্বার্থ সিদ্ধীর জন্য অতিরঞ্জিত করে প্রচার চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি উমর ফারুকের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে, তিনি জিডির সত্যতা নিশ্চিত করেন।