লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অসাবধানতা ও অসচেতনতার কারণেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গু ধারণা সচেতন মহলের। উপজেলার শহর ও গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্যা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।তাদের মাঝে এখন পর্যন্ত রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে ৯৮ জন। ৮২ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরে গেলেও বর্তমানে ১৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ গিয়াসউদ্দিন মানিক।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে দেখা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ চলমান থাকায়, নতুন ভবনের সীটে, বারান্দায় ও ফ্লোরে অসংখ্য রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এসময়, বৈদ্যুতিক পাখা চলে না, লাইট জ্বলে না বলে অভিযোগ তুলেন রোগীর স্বজনরা। ফলে রোগীসহ তাদের স্বজনরা কষ্ট পাচ্ছে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভারতের আগ্রহ নেইঃ কৃষিমন্ত্রী
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ গিয়াসউদ্দিন মানিক জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত এক ব্যক্তি থেকে একাধিক ব্যক্তিরও ডেঙ্গু রোগ হতে পারে। তাই সবাইকে সাবধনতার সহিত চলাফেরা করতে হবে। বর্তমানে সরকারি হসপিটালের ডেঙ্গুসহ সকল ধরনের রোগীর প্রচন্ড চাপ রয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর কারনে সিরিয়াল ম্যানটেইন করা, ডাক্তার দেখানো ও বিনা মূল্যে ঔষধ দেওয়াতে আমরা একটু হিমশিম খাচ্ছি। তবে পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ শেষ হলেই আমরা এই সমস্যগুলো থেকে মুক্তি পাব।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুনময় পোদ্দার জানান, এডিস মশার কামড় থেকেই ডেঙ্গু উৎপত্তি। সাধারণত ফুলের টব, ডাবের খোসা, আবদ্ধ ঢোবা, খাল ও ড্রেন, ময়লা আবর্জনার স্তুপ থেকেই এডিস মশার উৎপত্তি। সবাইকে বাড়ির আঙ্গিনাসহ সব জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহবান জানাচ্ছি। আমাদের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় নতুন ভবনের সীটে, ফ্লোরে ও বারান্দায় যে রোগীগুলো ভর্তি রয়েছে অচিরেই আমরা এটি সমাধান করব।