নাটোরের লালপুরে শ্লীলতাহানি ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় ৫ জনের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার আলী, আমিরুল ইসলাম, সাজদার রহমান, আনছার আলী, শাবান আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৫ জুলাই সকাল ১০টার দিকে লালপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কাবিল হোসেনের স্ত্রী রিতা খাতুনকে জাপটে ধরে একই এলাকার আকবর মিস্ত্রির ছেলে আনোয়ার হোসেন আনার। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন একই এলাকার আমিরুল ইসলাম, সাজদার রহমান, আনছার আলী এবং শাবান আলী। এ সময় রিতা খাতুন চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় এলাকায় একটি সালিশি বৈঠক করা হয়। সালিশে আসামিদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- রামগড়ে ৪৩ বিজিবি’র ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
মামলা সূত্রে আরও জানা গেছে, কিন্তু পরবর্তীতে ওই বছরেরই ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে আসামিরা কাবিল হোসেনের অনুপস্থিতিতে আবারও রিতা খাতুনের ঘরে ঢুকে তাকে মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশে আখ ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সে সময় রিতা খাতুনের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে আবারও আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে আসামিরা রিতা খাতুনের নামে নানা অপবাদ দিতে থাকে। এমন অপবাদ এবং শ্লীলতাহানির ঘটনা সহ্য করতে না পেরে সেইদিন রাতে রিতা খাতুন বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় রিতার স্বামী বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন।
এরপর দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালতের বিচারক আজ এ রায় দেন।