নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের নজিরপুর-মহজমপুর সড়কের মাঝখানে রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন এতে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। তাই দ্রুত রাস্তা থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, ঘনবসতিপূর্ণ মহজমপুর এলাকার প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষের উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটিই।
এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ভ্যান, রিকশা, সিএনজি ও অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। রাস্তাটি যখন কাঁচা ছিল তখন খুঁটির স্থানে রাস্তাটি সেলিম উদ্দিনের উঠানের দিকে চেপে ছিল, ফলে খুঁটি রাস্তার পাশে ছিল না। কিন্তু এক বছর আগে ইটের সলিং দিয়ে রাস্তা করার সময় জমি মাপতে গিয়ে খুঁটিটি রাস্তার একেবারে মাঝ বরাবর পড়ে। এলাকাবাসী তখন খুঁটিটি স্থানান্তর করতে বললেও কাজ হয়নি। কিন্তু ওই খুঁটিটি এখন চলাচলকারীদের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন- ডেঙ্গুতে ১ দিনে ৯ জনের মৃত্যু
মহজমপুর গ্রামের বাসিন্দা ময়েন উদ্দিন বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে তিনি ওই রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। তাঁর মতো গ্রামের অনেকেই এরকম ঘটনার শিকার হয়েছেন।’
রফিকুল ইসলাম জানান, ‘নিজস্ব ছোট পিকাপ তিনি নিজেই চালান। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে তিনি নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। খুঁটিটি সরানোর জন্য উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ঘুরেও সমাধান হয়নি।’
ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আকবর হোসেন জানান, ‘মাঝে খুঁটি রেখে রাস্তার কাজ করার সময় তিনি নিজেও বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। পরবর্তীতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করেও কাজ হয়নি।’
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাগাতিপাড়া সাব-জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, যখন ওই স্থানে বিদ্যুতের খুঁটিটি বসানো হয় তখন সেখানে রাস্তা ছিল না। পরবর্তীতে রাস্তাটি করা হয়েছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী যে দপ্তর রাস্তাটি করেছেন তাঁরা বিদ্যুৎ বিভাগে খুঁটি স্থানান্তরের নির্ধারিত ফি জমা করলেই সেটি সরানো হবে।
আরও পড়ুন- গাইবান্ধায় বিকল্প ধারা বাংলাদেশের জেলা আহবায়ক কমিটির অনুমোদন
বাগাতিপাড়া পল্লী বিদ্যুত সাব জোনাল অফিসের এজিএম মঞ্জুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা স্থানান্তরের ফি পরিশোধ করলেই খুঁটিটি সরানো হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক বলেন, আমি এই উপজেলায় যোগদানের পূর্বে রাস্তার কাজটি করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের এজিএমের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। ফি পরিশোধ করলে খুঁটিটি সরানো হবে বলে তিনি জানান।