লক্ষ্মীপুরের-রায়পুরে পৌরশহরসহ উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সনদ ও পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাইসহ মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। কসাইদের ছুরির লাইসেন্সও নেই। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন ক্রেতারা। এদিকে, এসব বিষয়ে তদারকির দায়িত্ব থাকলেও জনবল সংকটের অজুহাত দেখিয়ে উপজেলা প্রানী সম্পদ ও ভেটেনারি হাসপাতাল কর্মকর্তারাও তা করছেন না। প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।
পৌর শহরের কসাই পট্টি, টিসি সড়কের মোড়, নতুনবাজার, ভুঁইয়ার রাস্তার মাথা, বাসাবাড়ি বাজার, রাখালিয়া বাজার, মিতালি বাজার, হায়দরগঞ্জ বাজার, খাসেরহাট বাজার, মীরগঞ্জ বাজার, গাজিনগর বাজার, কাপিলাতুলি বাজার মোড়সহ উপজেলার ৩৫টি হাট-বাজারে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ অবাধে জবাই করা হচ্ছে।
জবাইয়ের আগে ছুড়ির লাইসেন্স থাকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
সরজমিনে শহরের একমাত্র কসাইখানায় গিয়ে দেখা যায়, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করে মাংস তৈরির কাজে ব্যস্ত কসাইরা। পশু জবাইয়ের রেজিস্টার খাতা দেখতে চাইলে তারা তা অনীহা প্রকাশ করেন।
আক্তার হোসেন ও মো. নাসির নামের কসাই বলেন, পৌরসভার কর্মকর্তারা যদি পরীক্ষা না করে আমাদের করার কি আছে। পৌর কর্তা আবদুল মান্নান মাঝে মাঝে পশু পরীক্ষা করতে আসেন।
পৌর সচিব আবদুল কাদের শীর্ষ সংবাদকে জানান, পৌরসভায় কোনো পশু ডাক্তার নেই। ফলে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। মেয়রকে জানানো হলে তিনি ব্যবস্থা করবেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আতাউর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, তাদের জনবল সংকটের কারণে পশু পরীক্ষা হচ্ছে না।
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মেদ কবির বলেন, অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অবশ্যই জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরকে অনুরোধ করব।