টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতল ইংল্যান্ড। ১৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাঁচ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।
পাকিস্তান ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলো। ২০১০ সালের আসর জয় করে ইংল্যান্ড। দুই দলই দ্বিতীয়বার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মেলবোর্নে মাঠে নামে আজ রবিবার (১৩ নভেম্বর)। ইংল্যান্ড এক ওভার হাতে রেখেই শিরোপা জয়ের স্বপ্নপূরণ করলো পাকিস্তানকে হারিয়ে।
আরও পড়ুন- টি-২০ বিশ্বকাপঃ হেলসকে আউট করলেন শাহিন আফ্রিদি
এগারো বছর পর দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জিতলো ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ড। তারা পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয়। ২০১০ সালে বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরের ফাইনালিস্ট ছিলো ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রিজটাউনের কিংস্টন ওভালের ফাইনাল ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছিলো ইংল্যান্ড।এবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে এসে নিজেদের মেলে ধরলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। স্যাম কারান, আদিল রশিদদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জ্বলে উঠতে পারলেন না পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তারা গুটিয়ে গেল দেড়শর আগেই।
২০ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান করেছে ১৩৭ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আগে ব্যাটিং করে যা যৌথভাবে সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
আরও পড়ুন- টি-২০ বিশ্বকাপঃ ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে ফের চমক দেখালো স্কটল্যান্ড
২০১২ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই পুঁজি গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই ম্যাচে অবশ্য লঙ্কানদের হারিয়ে শিরোপা উল্লাস করেছিল ক্যারিবিয়ানরা। পাকিস্তানের ইনিংসে কেবল ৪ জন যেতে পারেন দুই উইকেট। ত্রিশ রান পার করেন দুইজন। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন শান মাসুদ। ৩২ রান আসে বাবর আজমের ব্যাট থেকে।
প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকে রাখতে দুর্দান্ত বোলিং করেন কারান। ৪ ওভারে স্রেফ ১২ রান দিয়ে ধরেন তিনি ৩ শিকার। রশিদ ২২ রানে নেন দুটি। ২৭ রান দিয়ে ক্রিস জর্ডানের প্রাপ্তিও দুই উইকেট।
জবাবে ইংল্যান্ড ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে। বেন স্টোকস অপরাজিত ৫০, জস বাটলার ২৬ ও হ্যারি ব্রক ২০ রান করেন। এদিন হারিস রউফ ২ উইকেট নেন।