আরও পড়ুন- সবজির দাম হাতের লাগালে থাকলেও ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের
উক্ত পাট খড়ি বিক্রেতা বাদশা মিয়া বলেন, আমি প্রায় ২৫ বছর যাবৎ পাট খড়ির আঁটি বেঁচে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। তিনি বলেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাট খড়ির আঁটি কিনে নিয়ে এসে উক্ত ব্রম্মপুত্রের ঘাটে বিক্রি করে থাকি। তিনি আরও বলেন, এখানে প্রায় ৫০ হাজার টাকার পাট খড়ির আঁটি ক্রয় কিরেছি। সপ্তাহের দু’হাটের মধ্যে এগুলো প্রায় ৬০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা বিক্রি করব। এতে প্রায় লাভ হবে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন পাট খড়ির আঁটি সারা বছর চাহিদা থেকেই যায়। যে সকল এলাকা থেকে পাট খড়ির আঁটি আসে তা হলো ফেচকের চর, নয়ার হাট, কোদাল কাটির চর, সাহেবের আলগার চর, কাজিয়ার চর ও বড় চর সহ আরও অনেক এলাকা থেকে আসে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন- কুড়িগ্রামের তিস্তা পাড়ের মানুষের এ দুঃখের শেষ কোথায়?
ক্রয় করতে আসা নুর ইসলাম, সামাদ, জয়নাল, আউয়াল সহ আরও অনেক বলেন, উক্ত ব্রম্মপুত্রের তীরে অনেক পাট খড়ির আঁটি পাইকারী ও খুচরা বিক্রি বেচা-কেনা হয়ে থাকে। আমরা পাইকেরীতে কিনতে এসেছি। আমরা এগুলো আবার খুচরা হিসাবে আঁটি করে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করব। তাতে খুচরা বিক্রেতা কয়ছার আলী বলেন, আমি প্রায় ১৫ হাজার টাকার পাট খড়ির আঁটি কিনেছি। প্রতি আঁটি ক্রয় করেছি ৭৫ টাকা কিরে। তা গ্রামে গ্রামে বিক্রি করব ১শ টাকা করে। এখানে আমার লাভ হবে প্রায় ৭ হাজার টাকা। এভাবেই চলে আমার নিত্য দিনের ব্যাবসা।
আরও পড়ুন- ১১০ বছরের বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করলেন ছেলে
উক্ত ব্রম্মপুত্রের তীরে বেষ্টিত অনন্তপুরের ঘাটের ইজারাদার মোকলেছুর রহমান বলেন, বাদশা মিয়া প্রায় ২৫ বছর থেকে উক্ত ঘাটে পাট খড়ির আঁটি বেচা-কেনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। উক্ত ঘাটে সপ্তাহে দু’দিন হাট বসে। এ দু’দিনে অনেক টাকার পাট খড়ির আঁটি বেচা-কেনা হয়ে থাকে। এখানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাট খড়ির আঁটি বেচা-কেনা করার জন্য নিয়ে আসেন। আবার কেউ পাইকারি কেউ খুচরাতে ক্রয় করার জন্য উপজেলা বা তার বাহিরের অনেক এলাকা থেকে পাট খড়ির আঁটি কেনার জন্য আসেন। এখানে সুলভ মূল্যে পাট খড়ির আঁটি বেচা-কেনা হয় বলে জানান তিনি।”