রবিবার (৩০ অক্টোবর) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মতিয়ার রহমান (৫৫) নামের পাথরঘাটার এক প্রসাধনী ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ।
নিহত মতিয়ার রহমান পার্শ্ববর্তী বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের বেতমোর গ্রামের মৃত কেরামত জমাদ্দার আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় বাজারের প্রসাধনী ব্যবসায়ী ছিলেন।নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসে মতিয়ারকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
নিহত ব্যক্তির স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জমি নিয়ে প্রতিবেশী সতীশ খরাতির ছেলে পঙ্কজ খরাতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল মতিয়ারের। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা রয়েছে। পঙ্কজ খরাতি মামলায় হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় সম্প্রতি তাঁর মেয়েকে দিয়ে মতিয়ার রহমানের ভাই জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পাথারঘাটা থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। গত শনিবার সকালে মতিয়ার বরগুনায় গিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে জাকিরের জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন। রাতেই তিনি বাড়িতে ফিরে এসে এসব বিষয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা করেন। আজ রবিবার আদালতে জামিন আবেদন করার কথা ছিল।
আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন ফখরুলকন্যা শামারুহ
নিহতের স্ত্রী রহিমা খাতুন জানান, আজ (গতকাল রবিবার) সকালে পঙ্কজ খরাতি, পলাশ, প্রশান্তের নেতৃত্বে কয়েকজন বাড়িতে এসে তাঁকে ওড়না দিয়ে হাত–পা বেঁধে ফেলেন। এরপর মতিয়ারকে টেনে হিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে আমার ডাক-চিৎকারে শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে হামলায় অংশ নেওয়া লোকজন পালিয়ে যান পরে ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ আসে। অচেতন অবস্থায় মতিয়ারকে এ্যাম্বুলেন্স করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী আরও জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে পঙ্কজ খরাতি সহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে মতিয়ার রহমানের।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি নূরুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন করার পর লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।