জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে বইছে সুবাতাস। তেলের দাম নেমে এসেছে দাম ৯০ ডলারে। এখন দুই ধরনের অপরিশোধিত তেলই এখন ১০০ ডলারের কমে বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমায় বিশ্ব অর্থনীতিতে এক ধরনের স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন বৈশ্বিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
অয়েলপ্রাইসডটকম জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় বুধবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টায় ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেল তিন দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলার ৫৫ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। আর ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে ৯৭ ডলার ২৩ সেন্টে; কমেছে তিন দশমিক ৩১ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির পারদ ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ চূড়ায় ওঠার ধাক্কায় তেলের বাজারে এই পতন হয়েছে বলে জানিয়ে ওয়েলপ্রাইসডটকম। জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৯ দশমিক ১ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। যা ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ।
হোয়াইট হাউসের বৈশ্বিক জ্বালানি সুরক্ষা বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা আমোস হোচস্টেইন বলেছেন, ওপেক ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের উৎপাদন বাড়িয়েছে। তেলের দাম আরো কমা উচিৎ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার শঙ্কায় মাসখানেক ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অল্প অল্প করে কমছিল। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যস্ফীতির খবরে দুই ধরনের অপরিশোধিত তেলের দরই ১০০ ডলারের নিচে নেমে আসে।
বেশ কিছুদিন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলে ১১০ থেকে ১১৫ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করছিল। মাস দুয়েক আগে দুই ধরনের তেলের দামই বেড়ে প্রতি ব্যারেল প্রায় ১২৫ ডলারে উঠেছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। করোনা মহামারির মধ্যেও টানা বেড়েছে তেলের দাম। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় তা আরো ঊর্ধ্বমুখী হয়।
২০২০ সালের করোনা মহামারির শুরুতে সারা বিশ্বে যখন লকডাউন চলছিল, তখন জ্বালানি তেলের দাম মাইনাস ৩৭ ডলারে নেমে এসেছিল। অর্থাৎ এক ব্যারেল তেল কিনলে ক্রেতাকে উল্টো ৩৭ ডলার দেয়া হয়েছে। এরপর ওপেক ও রাশিয়া ধারাবাহিকভাবে তেল সরবরাহ কমিয়ে মূল্যবৃদ্ধি করে।
যুদ্ধের কারণে চলতি বছরে তেলের দাম আরো বাড়তে থাকে। ইউক্রেনে রুশ হামলার সাথে সাথে তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।