ঢাকাSaturday , 8 October 2022
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাসের খবর
  14. ফিচার
  15. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • শেয়ার করুন-

  • উলিপুরে আমনের পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতিতে সফল চাষিরা

    Link Copied!

    কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপা আমন চাষিরা পার্চিং পদ্ধতিতে আমন ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনে সফলতা পেয়েছেন। এ পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি ব্যাবহার করে পোকা দমনে সক্ষম হয়েছেন রোপা আমন চাষিরা।

    সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আমনের ক্ষেতে বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ টি করে ডাল বা কঞ্চি পুতে দিয়ে ক্ষতিকর পোকা দমন করছেন আমন চাষিরা। কীটনাশক ছাড়া ডাল বা কঞ্চি স্থাপন করে ফসলের জমির ক্ষতিকর পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষা করার পদ্ধতিটির নাম পার্চিং পদ্ধতি। জমিতে উঁচু স্থানে পাখি বসার সুযোগ তৈরি করে দেয়াই পার্চিং পদ্ধতি। পার্চিং পদ্ধতিটি পরিবেশবান্ধব এবং লাভজনক। কারণ এর মাধ্যমে কীটনাশকের ব্যবহার ও ফসলের উৎপাদন খরচ কম। বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা এবং পোকার বংশবিস্তার কমানো যায়। এই পদ্ধতির আরো একটি সুবিধা হলো পাখির বিষ্ঠা জমিতে জৈব পদার্থ যোগ করে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে।

    পার্চিং পদ্ধতিটি বিশেষত পাখিদের জন্য। কারণ পার্চিংয়ে বসে দোল খেতে খেতে পাখিরা মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, চুঙ্গি পোকা, ধানের স্কিপা পোকার মথ, শিষ কাটা লেদা পোকা, সবুজ শুঁড় লেদা পোকা, শুঁড় ঘাস ফড়িং, লম্বা শুঁড় ঘাস ফড়িং, উড়চুঙ্গা ধরে খায়। সাধারণত দেখা যায়, জমিতে সার দেওয়ার পর থেকেই রোপা-আমন, ইরি-বোরোসহ বিভিন্ন ফসলের জমিতে বাদামি ঘাসফড়িং বা কারেন্ট পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা এবং চুঙ্গি-মাজরাসহ নানা ধরনের ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এত দিন কৃষকরা এসব পোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশকসহ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছিলেন। এখন পোকা দমনে প্রাকৃতিক পার্চিং পদ্ধতি কৃষকের মধ্যে আশা জাগিয়েছে।

    আরও পড়ুন- পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী রবিবার

    উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক চাষি আশরাফ আলী খন্দকার, কামরুজ্জামান সরকার, সুশান্ত কুমার, মাহাফুজার রহমান, শাহিন আলম, মাহবুবার রহমান সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা আমাদের এলাকার কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার পরামর্শে জমিতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যাবহার করি। এ পার্চিং পদ্ধতিতে ফসলি জমিতে পোতা ডালগুলোর ওপর পাখি বসে ফসলি জমির ক্ষতিকারক পোকা ও পোকার ডিম খেয়ে ফেলার ফলে আর কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। যার ফলে কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া যায়। এ কারণে আমরা জমিতে কীটনাশক পরিহার করে পোকা দমনে সহজ ও পরিবেশবান্ধব পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি। তবে সব ধরনের পাখি পার্চিংয়ে বসে না। মূলত ফিঙ্গে, শালিক, বুলবুলি, শ্যামা, দোয়েল, সাত ভায়রা- এসব পাখি পার্চিংয়ে বসে পোকা ধরে খায় বলে জানান তারা।

    এ বিষয়ে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, এক গবেষণায় জানা যায়, একটি ফিঙে পাখি সারা দিনে কমপক্ষে ৩০টি করে মাজরা পোকার মথ, ডিম ও পুত্তলি খেয়ে থাকে। একটি পাখির দ্বারা প্রতিমাসে হাজার হাজার পোকা ধ্বংস করা সম্ভব হয়। ফসল রোপণের পরপরই পার্চিং স্থাপন করতে হয়। সাধারণত বন্ধু পোকামাকড়গুলো খাবার সংগ্রহের জন্য বেশি নড়াচড়া ও চলাফেরা করে। অপরদিকে ক্ষতিকর পোকামাকড় চুপচাপ বসে রস চুষে খায় বা ফসল কেটে বা কুরে কুরে খায় বলে জানান তিনি।”

    শীর্ষসংবাদ/নয়ন

    biggapon বিজ্ঞাপন

    জে এম আলী নয়ন

    সর্বমোট নিউজ: 4980

    Share this...

    বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
    ঢাকা অফিসঃ ১৬৭/১২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা- ১০০০ আঞ্চলিক অফিস : উত্তর তেমুহনী সদর, লক্ষ্মীপুর ৩৭০০