ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নাগরিক সমাজের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা এক মানবাধিকার কর্মী ও দুই মানবাধিকার সংস্থাকে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলোতে নোবেল ইনস্টিটিউট শান্তির নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি ও সংস্থার নাম ঘোষণা করেছে।
নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি বলেছে, বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি, রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজকে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কমিটি বলেছে, তারা বহু বছর ধরে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করার অধিকার ও নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো বিষয়গুলো নথিভুক্ত করার প্রচেষ্টার জন্যও শান্তির এই নোবেলবিজয়ীরা প্রশংসিত।
আরও পড়ুন- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জানা গেছে, ১৯৮০ এর দশকের মাঝামাঝি বেলারুশের গণতন্ত্র আন্দোলনের সূচনাকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন আলেস বিলিয়াতস্কি। তিনি তার নিজের দেশে গণতন্ত্র প্রচার এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ভিয়াসনা নামক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।
ভিয়াসনা একটি বিস্তৃত-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থায় বিকশিত হয়েছে।
সংস্থাটি রাজনৈতিক বন্দীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের নির্যাতনের নথিভুক্ত এবং প্রতিবাদ করে। সরকারি কর্তৃপক্ষ বারবার বিলিয়াতস্কিকে নীরব করার চেষ্টা করেছে। তিনি ২০২০ সাল থেকে এখনও বিনা বিচারে আটক রয়েছেন। তা সত্ত্বেও বিলিয়াতস্কি বেলারুশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য তার লড়াই বজায় রেখেছেন।