তিনি বলেন, প্রতিবছর সমঝোতা সম্মেলনস্থলে বাংলাদেশের চমৎকার একটি প্যাভিলিয়ন থাকে, কিন্তু আমরা দেখেছি আমাদের সেই প্যাভিলিয়নটি দিনের বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা পড়ে থাকে। আমরা যদি সেই প্যাভিলিয়নটি সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলোর ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারতাম তাহলে বাংলাদেশের সমস্যা এবং সংকটগুলোকে আরও বেশি দৃষ্টিগোচর করানো যেত।
তিনি আরও বলেন, সমঝোতা সম্মেলনটি ৯-১০ দিনব্যাপী হলেও আমাদের কপ শেষ হয়ে যায় প্রথম দুই তিনদিন পরেই! প্রধানমন্ত্রী দেশে চলে এলেই আমাদের সব তৎপরতায় ভাটা পড়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের সামনে হাজারো রকমের সমস্যা নিয়ে হাজির হয়েছে, এখন আমাদের উচিৎ এই সমস্যাগুলোকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে উপস্থাপন করা।
আরও পড়ুন- এখন অনলাইনেই এনআইডি’র ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে
সিপিআরডির নির্বাহী প্রধান মোঃ শামসুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণে বৈশ্বিক সমঝোতা আলোচনা বরাবরই একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে এই সমঝোতা আলোচনায়ও নতুন নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে। বৈশ্বিক নাগরিক সমাজ ও পরিবেশ সচেতন মানুষের চাপ এবং বিভিন্ন গবেষণা ফলাফলের ভিত্তিতে কপ-২৬ রাষ্ট্রসমূহকে তাদের কার্বন উদগিরণ হ্রাসকরণ এর লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়াতে হবে। এটি এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত যে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সবচেয়ে কার্যকর পন্থাটি হচ্ছে কার্বন (গ্রিন হাউস গ্যাস) উদগিরণ হ্রাস করা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্রসমূহের জন্য কপ-২৭ অনেক বড় সুযোগ নিয়ে এসেছে। আমরা যদি সুযোগগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে চাই এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রয়োজনীয়তা ও ক্ষয়ক্ষতিগুলো তুলে ধরতে চাই তাহলে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, ডিয়াকোনিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর খোদেজা সুলতানা লোপা।