করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব যে সংকটে পড়েছে, তাতে বাংলাদেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেজন্য যতটুকু প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার সরকার তা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্ব এখন অশান্তিতে ভুগছে। করোনা মহামারি যেতে না যেতেই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। সেখানে আমরা শান্তিতে থাকব কি থাকব না সেটা অনেকটা আমাদের নিজেদেরও ব্যাপার। কারণ, আমরা নিজেরা যদি আমাদের উৎপাদন বাড়াতে পারি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে অন্তত সেদিক থেকে আমাদের কোনো কষ্ট হবে না।
সরকার প্রধান বলেন, কিন্তু সারা বিশ্বের মানুষ যখন কষ্টে থাকে, তখন শান্তিতে থাকা যায়? শুধু নিজের কথা ভাবলেই চলে না, মানুষের কথাও ভাবতে হয়। উন্নত দেশের মানুষগুলোও কষ্ট পাচ্ছে। আর আমাদের দেশ তো আছেই। তাছাড়া আরও অনেক দেশ আছে। আমার দেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয়, তার জন্য যতটুকু যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার আমি কিন্তু সেটা নিচ্ছি।
আরও পড়ুন- ‘বিএনপি কোন মুখ নিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইবে’
প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বাজেট ছাড়াও কিন্তু আলাদা একটা তহবিল আমি রেখেছি। সেটা নিয়ে আমরা কার্যক্রম কি কি করব তার পরিকল্পনা করার নির্দেশ ইতোমধ্যে আমি দিয়েছি। অন্তত আমার দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে। আর যদি উদ্ধৃত্ত কিছু হয় আমরা অন্যকেও দিতে পারব।
খাদ্য যথেষ্ট মজুত আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রিজার্ভ খাদ্য যথেষ্ট আছে। জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, সেখান থেকে আমরা চাল আনতে পারব। ভিয়েতনাম, মিয়ানমার থেকে শুরু করে ভারত তো আছেই। যদি কোনো সংকট হয় আমরা আনতে পারব, সে ব্যবস্থা আমাদের আছে।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে টানা ১৮ দিনের সফরে সরকার প্রধান ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং রাজা তৃতীয় চার্লসের সিংহাসনে আরোহণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনাতে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সফর শেষে সোমবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।