জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৫ মিনিটে একযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
এর প্রভাব পড়েছে মোবাইল নেটওয়ার্কেও। মোবাইল ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, মোবাইলে কথা বলতে ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
এ তথ্য স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব)। সংগঠনটির পক্ষে এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করে এক বিবৃতি পাঠানো হয় গণমাধ্যমে।
বিবৃতিতে এমটব বলেছে, ‘জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাময়িক সময়ের জন্য টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। এ পরিস্থিতির জন্য আমরা দুঃখিত।’
আরও পড়ুন- ফেসবুকে ছবি-ভিডিও পাঠিয়ে নারীদের উত্ত্যক্ত, অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক জানিয়েছেন, জেনারেটর দিয়ে পপ চালু করলেও ব্যবহারকারী পর্যায়ে বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যান্ডউইথ ব্যবহার ৮০ শতাংশ কমে গেছে।
সূত্র বলছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে মোবাইল টাওয়ারগুলো জেনারেটর দিয়ে ২ থেকে ৫ ঘণ্টা চালু রাখা যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটর দিয়েও এর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয় না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, আমিন বাজার গ্রিড পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮টার মধ্যে ঢাকা শহরের সব এলাকা এবং তারপর ৯টার মধ্যে চট্টগ্রামের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। পাওয়ার গ্রিডের ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানরা কাজ করছেন।
গুজব না ছড়িয়ে সবার প্রতি একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন তিনি।