লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরার নৌকায় জলদস্যুরা হানা দিয়েছে। এ ঘটনায় মো. হাসান (১১) নামের এক জেলের লাশ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন জেলে নজু বয়াতি (৫৫)। হামলায় আহত হয়েছেন আরও চার জেলে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেঘনার নদীর রামগতির গজারিয়া এলাকা থেকে নিহত হাসানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কমলনগর উপজেলার লুধুয়া এলাকার মাঝ নদীতে জেলে নৌকায় দস্যুরা হানা দেয়।
নিহত জেলে হাসান উপজেলার সাহেবেরহাট ইউনিয়নের মো. সিরাজের ছেলে। নিখোঁজ জেলে নজু বয়াতি করইতলা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে মাতাব্বরহাট মাছঘাটের দেলোয়ার মাঝি ও বশির মাঝির নৌকা নিয়ে জেলেরা মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যায়। রাতে মাছ ধরে ফেরার পথে জলদস্যুরা তাদের নৌকায় হানা দেয়। অস্ত্রের মুখে নগদ টাকা, মাছ, জালসহ সকল মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় জলদস্যুদের হামলায় নজু বয়াতি ও হাসান নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। হামলায় আরও চার জেলে আহত হয়। নিখোঁজ দুই জেলের একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। অপরজনের সন্ধান করছে নৌপুলিশ ও স্বজনরা। শেখ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিখোঁজ জেলে নজু বয়াতির সন্ধান মেলেনি।
দস্যুদের হামলায় আহতরা হলেন মিরাজ, জিহাদ, আল আমিন ও জাহিদ। তাদের মধ্যে দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। আহত অপর দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মজু চৌধুরীরহাট নৌ পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. আবু তাহের বলেন, নিখোঁজ এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি আরেকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। জলদস্যুদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।