গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস কোনো ধরনের বিনিময় ছাড়াই তাদের কাছে বন্দী থাইল্যান্ডের নাগরিকদের মুক্তি দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৯ থাইকে তারা মুক্তি দিয়েছে। তাদের হাতে আরো ১৩ জন থাই নাগরিক বন্দী রয়েছে। থাইল্যান্ডের একটি মুসলিম গ্রুপ হামাসের সাথে সরাসরি কথা বলার পর এসব থাইকে মুক্তি দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের হাতে আটক থাই জিম্মিদের মুক্তির কথা ছিল না। কিন্তু শুরুতেই থাই জিম্মিদের ছেড়ে দেয় হামাস। কারণ ইসরায়েল এবং পশ্চিমারা থাইদের মুক্তি দাবিই করেনি। অথচ হামাস কেন তাদের ছেড়ে দিল?
আরও পড়ুন— সাইকেল চালিয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন পলক
এ প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরে বিবিসি জানিয়েছে, থাই জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে থাইল্যান্ডের একটি মুসলিম গোষ্ঠী লারপং। ওই এই গোষ্ঠীটি হামাসের কাছে বন্দী থাইল্যান্ডের নাগরিকদের মুক্তির জন্য সরাসরি আবেদন জানালে কোন বিনিময় ছাড়াই এখন পর্যন্ত ১৯ থাই নাগরিক মুক্তি পেয়েছে।
লারপং এর প্রতিনিধিদল অক্টোবরে তেহরানে গিয়ে হামাসের প্রতিনিধির সাথে সরাসরি আলোচনা করেছিল। লারপং এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “থাইল্যান্ড যদি শুধুমাত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপর নির্ভর করে বা অন্য দেশের সাহায্যের আশা করে থাকে, তাহলে বন্দী মুক্তির প্রক্রিয়া অনেক ধীর হতো।”
থাই উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারা বুধবার মুক্তিপ্রাপ্ত আরো দুই থাই নাগরিককে উষ্ণভাবে স্বাগত জানান। তিনি তার সামাজিক মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আরো দুই থাই পণবন্দীকে স্বাগত জানাতে পেরে খুশি। তারা মুক্তির পর তেল আবিবের একটি হাসপাতালে এসেছে।’
আরও পড়ুন— এবার অবরোধ ও হরতাল একসঙ্গে ডাকল বিএনপি
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অভিযানের সময় এই থাই নাগরিকরাও আটক হন। তাদের হাতে আরও ১৩ জন থাই নাগরিক বন্দী আছেন। তারা প্রধানত শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে ইসরায়েল গিয়েছিলেন।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের আগে প্রায় ৩০ হাজার থাই শ্রমিক ইসরায়েলের কৃষি খাতে কর্মরত ছিল। তারাই ইসরায়েলে বৃহত্তম বিদেশী শ্রমিক গ্রুপ। ওই ঘটনার পর প্রায় ৯ হাজার শ্রমিক থাইল্যান্ডে ফিরে গেছে।