বিএনপির উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কোনো হুমকি-ধমকি, হুংকার দিয়ে লাভ নেই, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। দেশে নির্বাচন আসছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। তারা কীভাবে অগ্নি-সন্ত্রাস, মানুষ হত্যা করেছে তা জনগণ দেখেছে।’
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত রায়পুর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ বিএনপির ডাকে এখন আর কোনোভাবেই সাড়া দিচ্ছে না। বিএনপি এখন হুংকার দিচ্ছে সব অচল করে দেবে। আবার অগ্নি-সন্ত্রাস করবে, আবার মানুষ হত্যা করবে। এসব হুমকি-ধমকি এ দেশের মানুষ পছন্দ করে না। এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ এসবকে চিরতরে প্রত্যাখ্যান করেছে। কাজেই যদি বিএনপি অগ্নি-সন্ত্রাস, মানুষ হত্যার মতো কিছু করতে চায় জনগণই তাদের প্রতিহত করবে, জনগণ তাদের এসবের জবাব দেবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে।
আরও পড়ুন— রামগড় সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ
তিনি বলেন, বিএনপির গায়েবি মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাদের দ্বারা আক্রান্ত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা যেকোনো জায়গা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। তা দিতেই পারে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিবছরই সারা দেশে পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। এ বছরও বেড়েছে। মণ্ডপে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশের পাশাপাশি ছয় লাখ আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মণ্ডপ কমিটিগুলোকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও ভলান্টিয়ার রাখার জন্য। অনেকে মনে করেন পূজাকে কেন্দ্র করে কিছু একটা হতে পারে। তবে আমরা মনে করি কিছুই হবে না। শান্তিপূর্ণভাবেই পূজা শেষ হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমিও আইনের ঊর্ধ্বে নই। যেই অন্যায় কিছু করবে, তার বিরুদ্ধে বিচারিক ব্যবস্থা হবে।’
আরও পড়ুন— গাইবান্ধায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
সভায় জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহজাহান ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন টিপু প্রমুখ।
পরে উপজেলা প্রশাসন আর্ট স্কুল উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এরপরই শ্রীশ্রী রাধা মদন মোহন জিউর আখড়া পরিদর্শন করেন। বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।