ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যেই এবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার সন্ত্রাসী ইসরায়েল। এতে গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি টাওয়ার গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে বহু মানুষ হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলে একের পর এক রকেট হামলা এবং হামাস সদস্যরা ইসরাইলের ভেতর প্রবেশ করে বহুমুখী আক্রমণ শুরু করলে পাল্টা বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরাইল। এর মধ্যেই ফিলিস্তিনের ওই টাওয়ারটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
আরও পড়ুন— ফিলিস্তিনিদের লাশের পর লাশ আসছে হাসপাতালে
পাশের একটি ভবন থেকে লাইভ করার সময় সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার একজন সাংবাদিকের ক্যামেরায় ধরা পড়ে এমন ভয়াবহ সেই হামলার ঘটনার ভিডিও।
ওই সাংবাদিক বলেন, ‘ভবনটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে মাটিতে মিশে গেছে। এর আশপাশের ভবনগুলো দেখলেই ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বোঝা যাবে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এতে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
এদিকে ইসরাইলের বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো গাজায় দুটি বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ওই ভবন দুটি হামাসের ‘সামরিক অবকাঠামো’ ছিল বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
আরও পড়ুন— হামাসের ৫ হাজার রকেট নিক্ষেপ, ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা ইসরায়েলের
যদিও ইসরাইলি বিমান বাহিনী যে ভবনগুলোর কথা বলছে তার মধ্যে ফিলিস্তিনের টাওয়ারও রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
হামাসের হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ২০০ ইসরাইলি এবং ইসরাইলের পাল্টা হামলায় গাজায় ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, নেদারল্যান্ডসের মার্ক রুট্টে এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ হামাসের হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ইসরাইলের পাশে থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। যদিও দখলদার সন্ত্রাসী ইসরায়েল যখন নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালায় তখন একপ্রকার নিরবতা পালন করেন এই বিশ্ব নেতারা।