ইরাকের আধা-স্বায়িত্ত্বশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চল থেকে জুন মাসে ১৭ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ইহুদিবাদী ইসরাইলে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত গণমাধ্যমের খবর থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা নিষিদ্ধ করে চলতি বছরের প্রথম দিকে ইরাকের জাতীয় সংসদে খসড়া বিল পাস হওয়ার পরেও দেশটি থেকে দখলদার ইসরাইলে তেল রপ্তানি চলছে।
আরবি ভাষার সংবাদ মাধ্যম আল-মালোমা এক রিপোর্টে জানিয়েছে, গত মাসে তেলসমৃদ্ধ কুর্দিস্তান এলাকা থেকে প্রতিদিন ইহুদিবাদী ইসরাইলের ৪ লাখ ৪৬ হাজার ব্যারেল তেল পাঠানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, কুর্দিস্থান থেকে প্রতি মাসে ব্রিটেন ৫০ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল আমদানি করছে, অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া তেল নিচ্ছে ২৮ লাখ ব্যারেল। এছাড়া কুর্দিস্তান অঞ্চল থেকে তুরস্ক এবং ইসরাইল জুন মাসে প্রত্যেকে ১৭ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল আমদানি করেছে।
আল মালোমা প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুর্দিস্তান অঞ্চল জুন মাসে ১ কোটি ১০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করেছে যা থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে দেড়শ কোটি ডলার।
এর আগে গত ১৭ জুন ইরাকের একজন রাজনীতিবিদ বাগদাদ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন যে, কুর্দিস্তান অঞ্চল থেকে তেল পাচার হয়ে কীভাবে ইহুদিবাদী ইসরাইলে যাচ্ছে তা গভীরভাবে তদন্ত করতে হবে।
সেই সময় কুর্দিস্তান অঞ্চলের রাজনীতিবিদ ওসমান হাসান পাশা বলেছিলেন, কুর্দিস্তান অঞ্চল থেকে তিনটি তেল ট্যাঙ্কারে করে ইহুদিবাদ ইসরাইলে তেল পরিবহন করা হয় এবং এ কাজের তুরস্কের বন্দর ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টিতে তুর্কি সরকারের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
তুরস্ক ইরাকের কুর্দি-অধ্যুষিত অঞ্চলে মাঝেমধ্যেই বিমান হামলা চালায় এবং কুর্দিদের সাথে তুর্কি সরকারের অনেকটা বিরোধমূলক সম্পর্ক রয়েছে। অথচ কুর্দিস্তান থেকে তুর্কি সরকারের সহযোগিতায় ইসরাইলে তেল পাঠানো হয়। বিষয়গুলোর মধ্য দিয়ে তুর্কি সরকারের দ্বৈত অবস্থান পরিষ্কার হয়।