একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে তার বড় ছেলে রাফিক বিন সাঈদীর কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে পিরোজপুর পৌরসভার মাছিমপুরে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের পাশের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
সকাল ১০টায় দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মরদেহবাহী গাড়িটি পিরোজপুরে পৌঁছায়। তবে তার ছেলে মাসুদ সাঈদী পিরোজপুরে পৌঁছাতে না পারায় জানাজায় অংশ নেওয়া মুসল্লিদের দাবির মুখে জানাজা দেরিতে শুরু হয়।
আরও পড়ুন- স্তম্ভিত বিশ্বের সংবাদ শিরোনাম
আজ সকালে পিরোজপুরে সাঈদী ফাউন্ডেশন মাঠ পূর্ণ হয়ে পাশের এক থেকে দেড় কিলোমিটার সড়কে মুসল্লিরা অবস্থান নেন। মরদেহবাহী গাড়িটি পিরোজপুরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন জামায়াতের নেতাকর্মীসহ উপস্থিত সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদীর মৃত্যু হয়।
তার আগে রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওইদিনই রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয় সাঈদীকে।
সাঈদীর বুকে ব্যথা, হার্টে সমস্যা, প্রেশার ও ডায়াবেটিসজনিত কিছু সমস্যা ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা