দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ২নং আলাদিপুর ইউনিয়নের সিদুরঘাটা গ্রামে চলমান রোপা আমন রক্ষায় জমিতে থাকে অতিরিক্ত বর্ষার পানি নিষ্কাশনে কালভার্ড নির্মান করতে গেলে সংশ্লিষ্ট জমির মালিক কর্তৃক স্থানীয় ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে আলাদিপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ইদ্রিস আলী ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোতিকৃত কালভার্ডটি নির্মান করতে গেলে স্থানীয় জমির মালিক মোঃ খায়রুল ইসলাম হিটলার ও তার পিতা মোঃ মেনহাজুল ইসলাম কালভার্ড নির্মান কাজে বাঁধা দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গলিগালাজ করে মেম্বারের সার্টের কলার চেপে ধরে চওড় থাপ্পড় মারতে থাকে। তৎক্ষনাৎ মেম্বার বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে মুঠো ফোনে জানান।
চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল সাকের বাবুল ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ওই জমির মালিকরা।
পরে চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ্ তমাল ও ফুলবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমানকে মুঠোফোনে জানালে ওসি ঘটনাস্থলে ৭ সদস্য পুলিশের একটি টহলদল পাঠান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোঃ খায়রুল ইসলাম হিটলার ও তার পিতা মোঃ মেনহাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন- এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে অধিনায়ক সাকিব
এ বিষয়ে আলাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং সদস্য মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আমার এলাকার বেশ কিছু জমিতে বর্ষার পানি জমে থাকায় রোপনকৃত আমনের চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদে আলোচনায় আসলে আমি সরকারিভাবে একটি কালভার্ড বরাদ্দ পাই। আজ সেই কালভার্ড নির্মান করতে গেলে মোঃ খায়রুল ইসলাম হিটলার ও তার পিতা মোঃ মেনহাজুল ইসলাম আমাকে বাঁধা দেয় এবং আমার সার্টের কলার চেপে ধরে আমাকে মারধর করে। আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। চেয়ারম্যান ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। আমি সরকারী কাজ করতে গিয়েছিলাম। জনগনের কাজ করতে গিয়ে আমি লাঞ্চিত। দ্রততম সময়ের মধ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
আলাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুশ সাকির বাবুল বলেন, ‘একটি কালভার্ডের অভাবে সিদুর ঘাটা গ্রামের প্রায় ১৫ বিঘা জমির আমন ধান পানির নিচে ডুবে আছে। আমন ধান রক্ষায়, দ্রততম সময়ের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের নিয়োমিত সভায় কালভার্ড নির্মানের অনুমোদন দেই এবং তা উপজেলা পরিষদে অনুমোদন নেই। আজ সেই কাজ করতে এসে আমার ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ইদ্রিস আলী লাঞ্চিত হয়। আমি খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে আসি এবং আমার মেম্বারকে রক্ষায় ইউএনও ও ওসি সাহেবকে ফোন দেই। পরে পুলিশ আসলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে পরামর্শ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’