শরীয়তপুরে দিন যতই যাচ্ছে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে শিশু-কিশোর সহ সব বয়সের নারী ও পুরুষ। রোগীর তুলনায় সদর হাসপাতালে নেই ডেঙ্গু রোগীর আসন সংখ্যা। বারান্দায় রাখা হয়েছে শিশু-কিশোর ও মহিলা রোগীদের। সিভিল সার্জান বলছেন, এভাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে আমরা বিপদে পরে যাব। এতে করে আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১২ টার পর থেকে এই পর্যন্ত ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫ জন। প্রতিদিন এর সংখ্য বাড়ছে। এর মধ্যে সদরে বাঘিয়া, চরগবিন্দপুর, গয়ঘর, পালং ও চিকন্দি অন্যান্য উপজেলার ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। রোগীর তুলনায় সদর হাসপাতালে নেই ডেঙ্গু রোগীর আসন সংখ্যা। বারান্দায় রাখা হয়েছে শিশু-কিশোর ও মহিলা রোগীদের।
আরও পড়ুন- হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় ইসি
পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডের বেড একটিও খালী নেই। হাসপাতাল বারান্দায় বেড দিয়ে রাখা হয়েছে ডেঙ্গু রোগী। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা রোগীরা অভিযোগ করেন, হাসপাতালের টয়লেটের অবস্থা খুবই খারাপ। একেবারেই ব্যবহারের অনুপযোগী। এছাড়াও বেশীর ভাগ ঔষুধ বাহির থেকে কিনে আনতে হয়।
এছাড়াও জেলা গুরুত্বপূর্ন স্থান শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বাবুল স্ট্যাম্প ভ্যান্ডর তিনি মাশারি টানিয়ে তার ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তিনি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার আতংকে এই পদ্ধতিতে ব্যবসা করছেন।
আরও পড়ুন- কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ইরাকের
তিনি জানান, যে ভাবে দিন দিন ডেঙ্গু বাড়ছে। তাই সচেতনতার জন্য মশারি টানিয়ে ব্যবসা করছেন। যাতে করে মানুষ সচেতন হয়। কার্যলয় ঘুরে দেখা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভেতর জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস ও বিজ্ঞ জিপি অফিস, রেকর্ড রুম, ডিপুটি কালেক্টর অফিসে ও বিআরটিএ অফিসের সামনে নোংরা আবর্জনায় ভরা। জব্দ হওয়া গাড়ি রাখা হয় এখানে। বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে দীর্ঘদিন ধরে। মাশার প্রজননের ভালো একটি জায়গায় পরিণত হয়ে আছে। এ বিষয়ে সেবা প্রার্থীরা কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এবিষয়ে সিভিল সার্জন আব্দুল হাদী মোহাম্মদ শাহ পরাণ বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ নিয়ে একটা মিটিং করেছিলাম। সেখানে বলা হয়েছে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সবার কাজ করতে হবে। মশার প্রজনন ধ্বংস করতে হবে। যাতে করে ডেঙ্গুর বিস্তার না ঘটে। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর জন্য পর্যাপ্ত ঔষুধ রয়েছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য জীবাণু নাশক মেডিসিন রয়েছে। ডেঙ্গু শনাক্ত পরিক্ষার মূল্য কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এভাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে আমরা বিপদে পরে যাব।’