দাঁত মানুষের অমূল্য সম্পদ। এটি সৌন্দর্যের প্রতীক। দাঁতের সুবিন্যস্ততা সৌন্দর্য বর্ধনে সহযোগিতা করে। আর দাঁত যদি হয় ফাঁকা তাহলে মানুষের হাসি ম্লান হয়ে যায়। এতে কিশোর-কিশোরীদের প্রতিভা বিকাশে সমস্যা হয় অনেক সময়। এরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দাঁত ফাঁক হয়ে যাওয়ার কারণগুলো হচ্ছে-
▶ জন্মগতভাবে দাঁতের ত্রুটির কারণে আকার আকৃতির পরিবর্তন ঘটে।
▶ কোনো কারণে দাঁত ফেলে দিয়ে প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা না করলে।
▶ বদঅভ্যাসের কারণে যেমন জিহবা দিয়ে ধাক্কা দেওয়া, বৃদ্ধাঙ্গুল চোষাই ইত্যাদির কারণে দাঁত ফাঁকা হয়।
▶ দীর্ঘদিনের মাড়ির রোগের কারণে দাঁত ফাঁকা হয়।
আরও পড়ুন- আমেরিকা বলেছে তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেইঃ কাদের
▶ দাঁতের অবিন্যস্ততার জন্য দাঁত ফাঁকা হতে পারে।
▶ আঘাতজনিত কারণে দাঁত ফাঁকা হতে পারে।
চিকিৎসা
চিকিৎসাবিদ্যায় এখন অনেকটা আধুনিকায়ন হয়েছে। দাঁত ফাঁকা হয়ে যাওয়ার চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো হচ্ছে—
* আঁকাবাঁকা দাঁতের চিকিৎসা পদ্ধতি বা অর্থোডন্টিক্স চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা। এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার সময় ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগে।
* পোরসেলিন বা জিরকোনিয়াম দ্বারা ক্যাপ বা ক্রাউন করানো। এটা এক সপ্তাহের মধ্যে করা সম্ভব।
* বর্তমানে ক্যাপ বা ক্রাউন করতে অনেক বেশি দাঁতের ক্ষতি হয় বিধায় বিভিন্ন ধরনের ভিনিয়ারিং পদ্ধতিতে দাঁতের ফাঁকের চিকিৎসা করা যায়। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে চিকিৎসা করা সম্ভব। এতে দাঁতের ক্ষতিও কম হয়।
আরও পড়ুন- হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় ইসি
* এ ছাড়া বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের আধুনিক কম্পোজিট বন্ডিং মেটেরিয়ালস পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে অতি দ্রুত ডাক্তারের চেম্বারে ফাঁকা দাঁতের চিকিৎসা করানো যায়। এই পদ্ধতিতে একটু সতর্কতা মেনে চলতে হয় রোগীকে, কারণ শক্ত খাবার খাওয়ার কারণে বন্ডিং ভেঙে যেতে পারে। এক থেকে দুই দিন সময় লাগে।
* দাঁত না থাকার কারণে দাঁত ফাঁকা হলে অথবা ফাঁকা বড় হলে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট করে ফাঁকা বন্ধ করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে ডাক্তার তথা অর্থোডেন্টিস্ট বা এস্থেটিক্স ডেন্টিস্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সুবিধাজনক পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে, যা দীর্ঘস্থায়ী হয়। ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লাগে। এসব ক্ষেত্রের দাঁত ফাঁকা হয়ে যাওয়ার যথাযথ কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা করলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।
লেখক : অধ্যক্ষ, খুলনা ডেন্টাল কলেজ।