করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ফাইজারের তৈরি কোভিড-১৯ টিকার আরও এক কোটি ডোজ অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অনুদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের টিকার পরিমাণ সাড়ে ৮ কোটি ছাড়িয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ফাইজারের তৈরি কোভিড-১৯ টিকার আরও এক কোটি ডোজ অনুদান দিয়েছে, যাতে বাংলাদেশ কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে পারে। এই অনুদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের টিকা ডোজের সংখ্যা সাড়ে ৮ কোটি ছাড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ যে পরিমাণ কোভিড-১৯ টিকা ডোজ এযাবতকালে পেয়েছে তার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি টিকা ডোজ অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও মার্কিন জনগণ।
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির প্রতিটি ক্ষেত্রে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কাজের প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় টিকাদান কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের জন্য ৫১ হাজারেও বেশি স্বাস্থ্যসেবাদানকারী ও অন্যান্য কর্মীদের নিরাপদ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ১৮টি ফ্রিজার ভ্যান, ৭৫০টি ফ্রিজার ইউনিট ও আট টিকা বহন বাক্স অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি ৪ কোটি ৭০ লাখ টিকা সরাসরি প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা পরিবহনে সহায়তা করেছে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে ১৪ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স কার্যক্রমের আওতায় কোভিড-১৯ টিকার অতি-শীতলীকৃত মজুত, পরিবহন ও নিরাপদ ব্যবহার-বিধি অনুসরণে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৪০০ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে। আর এই অনুদানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের ন্যায়সঙ্গত সুযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে বৃহত্তম দাতা দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।