কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নে ৩৫০ কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের মিনি গ্রিডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ওই প্রকল্পের বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ৪২০টি পরিবার। এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রবিবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চর সাজাই গ্রামের কানেশিয়া সোলার মিনি গ্রিড প্রকল্পে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা নিশ্চিত করতে পারেনি গ্রিড কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় প্রকল্পের ২৮৮টি ব্যাটারি, ৮টি অবগ্রিট মেশিন, ৮টি অনগ্রিট মেশিন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া অন্যন্য জিনিসপত্রও পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন- ইসরায়েলের সঙ্গে বিএনপির গোপন আঁতাত আছেঃ কাদের
কানেশিয়া সোলার মিনি গ্রিড প্রকল্পটি ৩৫০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। ২০১৮ সালে ইডকলের অর্থায়নে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি চালু করা হয়। এক্সিলোন বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি প্রকল্পটি পরিচালনা করে আসছে। হাইব্রিড সিস্টেম এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দিনে ও রাতে ৪২০টি পরিবারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও প্রকল্প এলাকাটি ব্রহ্মপুত্র ও সোনাভরি নদীবেষ্টিত দ্বীপচর হওয়ায় আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। সবকিছু পুড়ে ছাই হওয়ার পর ধীরে ধীরে আগুন নিভে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে কানেশিয়া সোলার প্যানেল সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যাটারি অতিরিক্ত চার্জ হওয়ায় তা বিস্ফোরণ হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কানেশিয়া সোলার প্যানেল সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জাহিদ হাসান জানান, সকালে ব্যাটারির অতিরিক্ত চার্জ হওয়ায় তা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মালামাল পুড়ে প্রায় ৮-৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে কোদালকাটি চরের ৪২০টি পরিবারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন- গাইবান্ধায় এসকেএস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে সোলার হোম সিষ্টেম বিতরণ
কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু বলেন, ‘এ প্রকল্প থেকে আমার ইউনিয়নের ৪২০টি পরিবার বিদ্যুৎ পেতো। আজ আগুন লেগে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়েছে। আমি বাইরে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শুনেছি।’
রাজিবপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সাব-অফিসার আবু হানিফ বলেন, ‘ঘটনাস্থলের চারপাশে নদী থাকায় আমরা যেতে পারিনি। যোগাযোগ করলে তারা (গ্রিড কর্তৃপক্ষ) বলেছেন, আপনারা আসার আগেই আগুন নিভে যাবে।’