আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিততে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে জমে ওঠেছে কুরবানির হাট। এ উপলক্ষ্যে উপজেলায় প্রস্তুত আছে প্রায় ২০ হাজার গবাদি পশু। কুরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড় তত বাড়ছে। পশুরহাটে নানা অব্যবস্থাপনা থাকলেও পশু বিক্রি বেড়েই চলছে।
জানা গেছে , প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার খামারি ও কৃষকরা গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটা তাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন। তাই এ বছরও কোরবানিকে সামনে রেখে দেশি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। একাধিক খামারি ও প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, গোখাদ্যের দাম তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও কোরবানির পশুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। এবার মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদ বেশি। বিজিবির কড়া নজরদারিতে ভারতীয় গরু কম আসায় বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা।
শনিবার (২৪ জুন) সকালে উপজেলার একমাত্র পশুরহাট ভূরুঙ্গামারী হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু নিয়ে হাটে আসতে শুরু করেছেন পাইকারি বিক্রেতা, খামারি ও গবাদিপশু পালনকারি প্রান্তিক কৃষকগণ। দেশি গরুতে বাজার ভরেগেছে। কুরবানির সম্মেলিত ও একক ক্রেতাসহ উপজেলার বাইরে থেকে বেশ কিছু পাইকার এসেছেন পশু কিনতে। প্রখর রোদের মধ্যেই হাটে পশু বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে জমে উঠেছে কুরবানির হাট।
আরও পড়ুন- রামগড় ৪৩ বিজিবি কর্তৃক ভারতীয় ফেন্সিডিল আটক
হাটে গরু কিনতে আসা আবুল বাশার জানান, বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া ৯০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের গরুর দাম ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে । আমরা ১ লাখ ১ হাজার টাকায় একটি ষাঁড় গরু কিনেছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, এবার উপজেলায় কোরবানির পশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার । তবে খামারি ও প্রান্তিক কৃষক মিলে প্রায় ২০ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন। গরু ৯ হাজার ৫৯৯টি, ছাগল ৮ হাজার ৩৩৪ টি ও ভেড়া ১ হাজার ১৪৯ টি।এতে চাহিদা মিটিয়ে ১৭০ টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোছাঃ শামীমা আক্তার বলেন, ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ২০ হাজার পশু মজুত রয়েছে। কুরবানীর পশুর হাটে আমাদের মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। তারা অসুস্থ পশু চিহ্নিত করা, বাজারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া পশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা, গর্ভ পরীক্ষা, লিফলেট বিতরণসহ সহ গবাদি পশু ক্রেতা- বিক্রেতাদের নানা পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছেন।