ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। এতে হিরো আলমও ইসির প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।
এর আগে গত রবিবার (১৮ জুন) মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মুনীর হোসাইন। এক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক শতাংশ ভোটার সমর্থকের বিষয়টি সঠিকতা না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল।
যেকোনো সংসদীয় আসনে নির্বাচন করতে হলে এক শতাংশ ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই এক শতাংশ ভোটার ও তাদের স্বাক্ষর নিতে পারেননি। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধি দল সরেজমিন ঘুরে হিরো আলমের দেয়া এক শতাংশ ভোটারের হদিস পায়নি। এজন্যই হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল বলে গত রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) মনোনয়ন বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মুনীর হোসাইন খান জানান।
আরও পড়ুন- আ’লীগকে ভোট চুরি করে জিততে হয় নাঃ প্রধানমন্ত্রী
পরে গত মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেল ৪টার দিকে নির্বাচন কমিশনে সশরীর হাজির হয়ে আপিল করেন হিরো আলম।
সেদিন হিরো আলম বলেছিলেন, এর আগেও দুটি উপ-নির্বাচনে ইসিতে আপিল করে আমি প্রার্থিতা ফেরত পাইনি। পরে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা আনতে হয়েছিল। এবারও পাবো কি না জানি না। কারণ ইসিতে এলে সুষ্ঠু বিচার কমই পাই। তবুও আশা রেখেই আপিল করলাম।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ নিয়ে শুনানি হয়। এতে প্রার্থিতা ফিরে পান হিরো আলম। আপিল শুনানিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। ফলে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন তিনি। আগামী রোববার এ নিয়ে আদেশ জারি হবে।
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, আমি নিরাশার কথা বলেছিলাম। এখন আস্থা তৈরি হলো।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। পরদিন হবে প্রতীক বরাদ্দ। ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট নেয়া হবে।
গত ১৫ মে এই আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।