সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ইরি-বোরো ধান কাটা শেষ হতে না হতেই কৃষকেরা বোনা আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করেছেন।
বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় এমন ফসলি মাঠে এ ধানের চাষাবাদ শুরু করেছেন উল্লাপাড়ার কৃষকেরা।
কিছু জমিতে আমান ধান ছিটিয়ে আবার কিছু জমিতে চাষ দিয়ে তৈরি করে রোপণ করা হচ্ছে আমন ধান। এমন চিত্র চোখে পড়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আবাদী মাঠে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারের মৌসুমে গোটা উপজেলায় মোট ১ হাজার ৬শ ৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে ৪ শ ২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এ ধানের আবাদে জমিতে বিনা চাষে বীজ ধান ছিটিয়ে দেওয়া হয়। আবার চাষ দিয়েও বীজ বোনা হয়।
আরও পড়ুন- গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ল্যাপটপ বিতরণ
ইতিমধ্যই উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের মাঝে ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়নের কৃষ্টপুর, চরপাড়া গ্রামে ধান কাটার পর জমিতে সেচ দিয়ে ও চাষ করে জমি প্রস্তুত করে সেখানে বোনা আমন ধানের চাষাবাদে কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছে।
এ ছাড়াও উধুনিয়া ইউনিয়নের ফাজিলনগর গ্রামের মাঠে কৃষক রবিউল করিম বোনা আমন ধানের জমিতে ধান বীজ বোনার আগে হালচাষের পর কাদা মাটি মই টেনে সমান করতে দেখা যায়।
কথা হলে কৃষক রবিউল করিম জানান, এ আবাদে খরচ অনেক কম। তাই তিনি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বোনা আমন ধানে চাষাবাদ করছেন।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে কৃষকেরা বোনা আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করেছেন। বোনা আমন ধানের চাষাবাদে তার বিভাগ থেকে কৃষকদের সর্বাত্বক সহযোগিতা করা হবে। জমি পতিত না রেখে যে সকল জমিতে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়, সে সকল জমিতে এ ধানের চাষাবাদ করার পরামর্শ দেন তিনি।