খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নির্বাচনের আর মাত্র দুইদিন বাকি। আগামী সোমবার (১২ জুন) দেশের তৃতীয় বৃহৎ এ সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ শনিবার (১০ জুন) রাত ১২টায়। এরপর অর্থাত রবিবার (১১ জুন) থেকে কোনো ধরনের কোনো প্রচারণা চালাতে পারবেন না প্রার্থীরা। প্রচার চালালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে, শেষ মুহূর্তে জমে ওঠে প্রার্থীদের প্রচারণা।
শনিবার (১০ জুন) রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শনিবার মধ্যরাত থেকে খুলনা সিটি নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। আগামী ১২ জুন ৩ হাজার ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন- ফ্ল্যাটে মই দিয়ে পারাপার, ভোগান্তিতে ৩০ পরিবার
প্রসঙ্গত, কেসিসি নির্বাচনের মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাপার শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ আবদুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
এর আগে গত ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু হয়। প্রার্থীদের প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় খুলনা মহানগরীতে।
কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন- ফ্ল্যাটে মই দিয়ে পারাপার, ভোগান্তিতে ৩০ পরিবার
এবারের সিটি নির্বাচনে ৩১ টি ওয়ার্ডের ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি বুথে তারা ৩ হাজার ইভিএমে ভোট দেবেন। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ আলাউদ্দীন বলেন, আজ রাত ১২টা থেকে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হবে। এ সময়ের পর কেউ প্রচারণা চালাতে পারবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহলে রয়েছেন। কোনো ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তারা পদক্ষেপ নেবেন। এছাড়া, নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।