নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ফসলি জমিতে পরিচালনা করছেন ইটভাটা। রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধির প্রভাব খাটিয়ে জনবহুল এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে পোড়াচ্ছেন ইট। বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় পুড়ছে ভাটা সংলগ্ন ফসলি জমি। এনিয়ে গত ১৪ এপ্রিল “লক্ষ্মীপুরে চেয়ারম্যানের ইটভাটায় পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন” শিরোনামে শীর্ষ সংবাদে খবর প্রকাশিত হয়।
অনুমোদনহীন ওই ইটভাটার সংবাদটি জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর আজ রবিবার (৭ মে) ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ভাটাটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মকবুল হোসেন বলেন, অনুমোদন ছাড়া ফসলি জমিতে ইটভাটা পরিচালনা করায় দিঘলীর মেসার্স ভাই ভাই ব্রিকসটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভাটা কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যাওয়ার কাউকে আটক কিংবা জরিমানা করা হয়নি।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্ব দিঘলী এলাকায় মেসার্স ভাই ভাই ব্রিকসটি পরিচালনা করছেন চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (সাবেক) শেখ মুজিব। তিনি পরিবেশবান্ধব চিমনির পরিবর্তে ‘ড্রাম চিমনি’ ব্যবহার করছেন ভাটায়।
এছাড়া চারিদিকে স্তূপ করে রাখা হয়েছে কাঠ। এসব কাঠ ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করছেন। আর শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে শিশুও। ভাটায় ট্রাক্টর (পাওয়ার ট্রলি) দিয়ে ফসলি জমির ওপরি স্তুরের মাটি (টপ সয়েল) আনা হচ্ছে। ফলে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে শিশু-বৃদ্ধ, ও স্থানীয়দের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া নিয়ম থাকলেও ১২০ ফুট উচ্চতার পাকা চিমনি নেয় চেয়ারম্যানের ভাটায়।