লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ১০নং রায়পুর ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান খান ভুট্টু ও ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের চালতাতুলি বাজার এলাকার প্রবাসী হারুনুর রশিদের স্ত্রী রেশমা আক্তারের অনৈতিক কার্যকলাপের সময় মেম্বারে স্ত্রী-মেয়েসহ জনতা হাতেনাতে আটক করেছে। দুপুরে ৩০২ ধারায় পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের দুইজনকে আদালতে পাঠানো হয়।
বুুধবার রাত ১২টার সময় (৮ ফেব্রুয়ারী) রায়পুর ইউপির চালতাতুলি বাজারে প্রবাসীর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় এলাকার জনগণ তাদের আটক করে পিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। ইউপি সদস্য মিজানুর রহামনের স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। গৃহবধু রেশমা আক্তার সৌদি প্রবাসী স্বামী ও তিন শিশু সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, গত ১০ বছর ধরে ফরিদগন্জের আলোনিয়া গ্রামে শশুর বাড়ীতে না থেকে নীজেদের বাড়ীর সামনে ভবন করে বসবাস করছেন গৃহবধু রেশমা আক্তার। গত ৯ বছর ধরে ইউপি নির্বাচনের পর থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা লেনদেন নিয়ে ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান খান ভুট্টুর মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান প্রায়ই রেশমার বাসায় যাতায়াত করতেন। এসব অসামাজিক কাজ বাদ দিয়ে ভালো কাজ করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও পরিবার থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ইউপি সদস্য তা শুনেননি। উল্টো স্ত্রীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করতো।। বুধবার সকালে স্ত্রী সাজু বেগমকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় বৃহস্পতিবার-সকাল ১১টার সময় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এসময় ইউপি সদস্যের স্ত্রী সাজু বেগম ও মেয়ে মিতু বলেন, কয়েক বছর ধরে সাজু বেগমকে নির্মম ভাবে শারিরীক নির্যাতন করছে। কেউ বিচার করে না। অবশেষে এলাকার কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বাবাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করি।
বুধবার রাতে মিজানুর রহমান খান ভুট্টু রুজিনার বাসায় গেলে রাত ২টায় এলাকার জনগণ তাদের আটক করে ঘরে বন্ধ করে রাখে। পরে থনা পুলিশের হাতে মেম্বার ও রেশমাকে তুলে দেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আজম সুমন চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনগণের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। ওই ইউপি সদস্য ও প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে মিমাংশা না হওয়ায় তাদেরকে আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পরিষদের মিটিংয়ে সভা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রায়পুর থানার ওসি (তদন্ত) হাসান জাহাঙ্গির বলেন, তাদের দুজনকে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর হাত থেকে রাতেই উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। দুপুরে তাদের দুইজনকে ৩০২ ধারায় দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।