ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শ্বশুরবাড়ি থেকে রুবেল (২৭) নামের এক প্রবাসীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের লাপং মধ্যপাড়া গ্রামে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রুবেল উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের চেলিখলা গ্রামের জারু মিয়ার ছেলে। তিনি ওমান প্রবাসী ছিলেন। এ ঘটনার পর তার স্ত্রী সুমাইয়াসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
রুবেলের পরিবারের সদস্যরা জানান, লাপাং গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়াকে বিয়ে করেছিলেন ওমান প্রবাসী রুবেল। প্রবাস থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশীরা দেখেন ঘরে রুবেল দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘরের তালা ভেঙে রুবেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় রুবেলের স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে জানা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সুমাইয়া ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই।
আরও পড়ুন- হিলিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবী সম্পর্কিত মত বিনিময় সভা
গত ১৫ দিন পূর্বে স্বামীর বাড়ি চেলিখলা থেকে কথা কাটাকাটি করে কাউকে না বলে পূনরায় তার পিত্রালয় লাপাং চলে আসেন। পরে ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে তার স্বামীর মুঠোফোনে ফোন করে তাকে এসে নিয়ে যেতে বলায় ঐদিন রাত ১১ টায় স্বামী রুবেল তার নিজ বাড়ি থেকে তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন। পরের দিন আজ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশ শ্বশুর বাড়ির রান্নাঘর থেকে তার ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করেছেন। ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে রেখে স্ত্রী সুমাইয়াসহ তার পরিবারের সবাই বাড়িঘর তালাবদ্ধ রেখে অন্যত্রে আত্মগোপন করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জনমনে প্রশ্ন জেগেছে হত্যা নাকি আত্মহত্যা?
প্রবাসী রুবেলের পরিবার জানান তাকে তার স্ত্রী ও শশুররের পরিবারের লোকজন হত্যা করে ফাঁসি লাগিয়ে সবাই পালিয়েছে। আমরা এই হত্যার বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হব।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।