জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা অনুষদের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে বিভাগ পরিবর্তনের আবেদন করায় এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আটককৃত সজীব আহমেদ নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের (ষোড়শ ব্যাচ) শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন রইছ উদ্দীন আহমেদ এই শিক্ষার্থীর আবেদন যাচাই করতে গেলে জাল স্বাক্ষরের বিষয়টি সামনে আসে।
এর আগে ওই শিক্ষার্থী মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে হিন্দু দাবী করে কলা অনুষদের ডীন অফিসে এই আবেদন পত্র জমা দেন সে।
আরও পড়ুন- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, বিএনপির ৬ নেতা কারাগারে
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সজীব আহমেদ মানিকগঞ্জের বাসীন্দা। তার বাবার নাম আবুল কালাম ও মায়ের নাম শিল্পী বেগম। এছাড়াও বিগত দুই মাস সে বিমান বাহিনীর ওয়াচম্যান পদে কর্মরত রয়েছে।
অভিযোগ স্বীকার করে সজীব আহমেদ বলেন, আমি আরবি পারি না। তাই ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ পরিবর্তনের আবেদন করি। সেখানে আমি নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়েছি ও স্বাক্ষর ও সিল নকল করে আবেদন করেছিলাম।
এ বিষয়ে কলা অনুষদের ডীন এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, বিভাগ পরিবর্তনের জন্য রেজাল্ট প্রকাশ করার সময় বিষয়টি আমার সামনে আসে। ডেপুটি রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন গেলে তিনি সন্দেহ হলে আমাকে জানান। এরপর তার সকল কাগজপত্র চেক করে দেখা যায় সকল কাগজপত্রে জাল সাক্ষর ও সিল দেওয়া।
আরও পড়ুন- রোকাইয়াকে বাঁচাতে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আইটি দপ্তরে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন সজীব। পরে উপাচার্য স্বাক্ষর মিল না হওয়ায় সন্দেহ হয়। এরপর তাকে প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
প্রক্টর আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমরা তার কর্মস্থল বিমান বাহিনীকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। তারা তাদের মতো ব্যবস্থা নেবে। এরপর বহিষ্কারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।